ঝিনাইদহের সবিতা রাণী’র ছাগল সংসার
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে ছাগল পালন করে বেকার সমস্যা সমাধান, দারদ্র্যি বিমোচন, পুষ্ঠির চাহিদা সহ অর্থনিতিতে ব্যপক ভুমিকা রাখতে পারে। অল্প জায়গা, রোগ বালাই কম, স্বল্প পুঁজিতে ছাগল পালন ঝিনাইদহ দারিদ্র্য বিমোচনে মডেল হতে পারে। এরই মধ্যে ছাগল পালন করে সংসারে অভাব ঘুচিয়ে ¯া^বলম্বি হয়েছে।
বিভিন্ন গবেষনা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ হাজার বছর আগে ইরানের আলিকোশ পর্বত মালায় বিজোয়ারা ও আইবেক্স নামের দুটি বন্য প্রানীর ডেমোষ্টিকেশন করা হয়। পরে আচরন, খাদ্যভাসের লক্ষ্যন দেখে যাযাবররা সাথে নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পূর্ব, মধ্যদক্ষিন দুটি পথে যাযাবররা এশিয়ায় বর্তমান প্রানী ছাগল নিয়ে আসে।
যার একটি হল- ইরান, আফগান, তুর্কিস্থান ও চিন। বর্তমানে যাকে সিলক রোড বলা হয়। অন্যটি ইরান আফগানস্থান, খাইবার গিরিপথ ভারতবর্ষ। তবে বাংলাদেশে যে ছাগল দেখা যাই তা দক্ষিন চিন, হুসাইন দ্বীব, তাইওয়ানের পশ্চিমের দ্বীপ দিয়ে তিব্বতের মালভুমি হয়ে প্রবেশ করেছে।
প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৪’শ ৬০ টি ছাগলের ফার্ম রয়েছে। এছাড়াও ব্যাক্তি মালিকানা ও পারিবারিক ভাবে ছাগল পান করা হচ্ছে।
ব্যাক্তিগত ভাবে ছাগল পালন করে সদর উপজেলার শৈলমারির রাধাপদ, স্ত্রী সবিতা রানী দু’জন ছাগল পালন করে ব্যপন সাড়া জাগিয়েছে।
তারা জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে দু’জনার বিয়ে হয়। নিজেদের জমি নেই। রাধাপদ কোন রকম দিন মজুর করেন। অসুস্থ্যতার কারনে মালিকেরা কাজে নিতে চাইনা। ধারদেনা করে সংসার আর চলেনা। সংসারে চরম অভাব চলছে। তারপরও অতিকষ্টে একটি ছাগীর বাচ্চা কেনা হল। অতিযতেœ পালন করতে শুরু করলাম। বছর না ঘুরতেই ছাগী দু’টি বাচ্চা দিল। দিনদিন ছাগল আর ছাগির সংখ্যা বড়লে লাগলো। বর্তমানে পূর্ণ বয়স্ক ৮০টি ছাগল ও ছাগী রয়েছে। এছাড়াও অর্ধশত বাচ্চা রয়েছে। প্রতি বছর ৩০/৩৫ টি ছাগল বিক্রি করা হয়। সেখানে কমপক্ষে দু’লাখ টাকা আয় হয়। যা দিয়ে সুখেই সংসার চলছে।
তারা আরো বলেন, প্রতিদিন রাধাপদ, স্ত্রী সবিতা রানি কখনও দু,জন মিলে ছাগলগুলো পাশের মাঠে চরাতে যাই। তাই ছাগল পালন করতে তেমন কোন খরচ হয়না। তাদের দেখে এখন পাশ্ববর্তী কুটিদূর্গারপুর, অশ্বস্থলী, কালুহাটিসহ কয়েকটি গ্রামে কমপক্ষে ১০’হাজার পরিবার ছাগল পালন করেছে। এছাড়া স্কুল কলেজের ময়েরা বাড়িতে ছাগল পালন করে সংসারের বাড়তি আয় করতে সহযোগিতা করছে।##