ধর্ম ও জীবন

কিয়ামতের আগে হজরত ইসরাফিলের অপেক্ষা

কিয়ামাত বা মহাপ্রলয় অবধারিত। যা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত। তবে কখন এ মহাপ্রলয় সংঘটিত হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখের কোনো বর্ণনা নেই। কুরআনের অনেক সুরায় কিয়ামাত বা মহাপ্রলয় সম্পর্কিত অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। তাছাড়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে হাদিসে বর্ণনা করেছেন।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় শিঙ্গার মালিক (ইসরাফিল আলাইহিস সালাম)-এর দৃষ্টি অনবরত আরশের দিকে তাকিয়ে আছে; যে দিন থেকে তাঁকে এ কাজের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে।

এ ভয়ে যে, তাকে শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার নির্দেশ করা হবে তাঁর দৃষ্টি নিক্ষেপের আগেই। আর তাঁর চোখ দুটি হবে তারকার মতো উজ্জ্বল। (মুসতাদরেকে হাকেম; সিলসিলা)

অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিয়ামতের দিন নিদ্দিষ্ট করে উল্লেখ করেছেন-

Kiamot

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সর্বোত্তম দিন; যার প্রতি সূর্যোদ্বয় হয়েছে শুক্রবার।

সে দিন (হজরত) আদমকে (আলাইহিস সালাম) সৃষ্টি করা হয়েছে। সেদিনই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। আবার সেদিনই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। আর শুক্রবারই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।’ (মুসলিম)

কুরআন এবং হাদিসে কিয়ামতের বর্ণনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটিই। আর তা হলো আল্লাহ তাআলার পথ থেকে বিমুখ হওয়া মানুষকে সত্যের পথে ফিরে আসার তাগিদ দেয়া। অন্যায় পথ পরিহার করা। কিয়ামতের ভয়াবহতা উল্লেখ করে মৃত্যু পরকালীন জীবনে আল্লাহ তাআলার কাছে জবাবদিহিতার মানসিকতা তৈরি করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত হাদিস থেকে কিয়ামতের কথা স্মরণপূর্বক দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ ঈমান লাভ এবং পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button