ঝিনাইদহের মিষ্টি পানে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের পানের কদর রযেছে সারা দেশ জুড়ে। নানা প্রতিকুলতার মধ্যেদিয়ে পান চাষিদের টিকে থাকতে হয়। প্রায় প্রতি বছর জেলায় পান পাতায় দাগ, শিকড় ও লতাপঁচা, ঝরেপড়া সহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে এবছর পানের বাম্পার ফলন আশা করাছে চাষিরা।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসার বিভিগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬ উপজেলায় এবছর ২হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। জেলার সবচে বেশি আবাদ পান আবাদ হয়েছে হরিনাকুন্ডু উপজেলাতে। সেখানে ১৩’শ ৫০ হেক্টর জমি পান চাষ হয়েছে।
হরিনাকুেন্ডর জটারখাল গ্রামের পান চাষি কওছার জানান, মৌসুমের শুরুতেই পানে রোগ আক্রমন দেখা দেয় । এ বছর পান চাষিদের অবস্থা ভালো। পান ভালো উৎপাদন হবে বলে আশা করেছে। আবাহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা। তিনি আরো বলেন, পান রোগে আক্রান্ত না হয়, সে জন্য পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
জেলার হরিনাকুন্ড উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ আরশাদ আলী চৌধরী বলেন, উপজেলায় এবছর ১৩’শ ৫০হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। পান চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া, সাথে লিফলেট বিতরন করা হচ্ছে।
ঝিনাইদহ কৃষি ববিভাগের উপপরিচালক জি এম আব্দুর রউফ বলেন, এবছর পান চাষিদের অবস্থা বেশ ভালো। জেলার পান চাষিদের বিভিন্ন পানের বরজ দেখেছি। তিনি আরো বলেন, কৃষি বিভাগের মুল লক্ষ্য নিরাপদ রপ্তানি যোগ্য প্রক্রিয়া করা। তাছাড়া পান যাতে নষ্ট না হয় , রোগ না লাগে, এবং ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার থেকে বিরত রাখা সহ নানা বিষয় পরামর্শ ও সচেতন করছে কৃষি বিভাগ।