গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের সুবিধা বঞ্চিত ঝিনাইদহসহ ৩ জেলা
গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের সুবিধা থেকে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ৭টি উপজেলা বঞ্চিত। খাদ্যশস্য উৎপাদনে এসব এলাকার কৃষকদের মেশিনের সাহায্যে সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ বেশি হওয়ায়, লাভবান হতে পারছেন না কৃষকরা। অবশ্য, প্রকল্পের এলাকা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ২০টি উপজেলার মধ্যে সুবিধা পাচ্ছে ১৩টি উপজেলা। বাকি ৭ উপজেলার কৃষকরা এখনো এ প্রকল্পের আওতায় আসেনি। এতে সেচসহ বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা।
কৃষকরা জানান, সেচ প্রকল্পের পানিতে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়না। ফলে ফলন হয় ভালো। অন্যদিকে মাটি থেকে উত্তোলিত পানিতে জমির উর্বরতা কমে যায়। এতে সার ও বিদ্যুতের জন্য বাড়তি খরচ হয়। তাই লাভের পরিমাণ খুবই কম।
কৃষকরা বলেন, ‘জিকে সেচ প্রকল্পের পানি থেকে আমাদের ধানের ফসল ভাল হচ্ছে। কিন্তু মাটির নিচ থেকে পানি তুললে আয়রনের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সেচের পানিতে এটা নাই। আবার বিদ্যুতের খরচ লাগে তাই লাভ হয় না।’
এসব সমস্যা নিরসনে প্রকল্পের আওতায় বঞ্চিত এলাকাগুলো অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা। উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সেচ প্রকল্পের সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে প্রকল্পের এলাকা বৃদ্ধি করা হবে।’
কুষ্টিয়া গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে ৫১ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।