আপনি কেমন ব্যক্তিত্বের মানুষ জেনে নিন
একেকজন মানুষের বৈশিষ্ট্য একেক রকমের। কেউ অনেক হাসিখুশিতো কেউ একটু গম্ভীর। কেউ মিশুকতো কেউ আবার আত্মকেন্দ্রিক। মানুষের আচার-ব্যবহার দেখে বোঝা যায় সে কোন প্রকৃতির মানুষ। ককণও কি জানতে ইচ্ছে করে যে আপনি আসলে কোন প্রকৃতির মানুষ। এটা জেনে নিন আজকের প্রতিবদেন থেকে।
বিশ্বখ্যাত মনস্তত্ত্ববিদ ব্রিটেনের পারপেতুয়া নিও এই সংক্রান্ত একটি অভিজ্ঞতা নিয়েই সমীক্ষা করেছেন। তিনি এ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছেন। তিনি কখনও না কখনও সারাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের পরামর্শ দিয়েছেন । সেই ভিত্তিতেই তিনি জানিয়েছেন, মানুষের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার কথা।
সারা বিশ্বে তার নানা ব্লগ শেয়ার হয়ে থাকে। প্রচুর অনুরাগীও রয়েছে নিও-র। তার কথায়, মানুষের ব্যক্তিত্ব আসলে চার রকম, বাকি পুরোটাই ওই এক বৈশিষ্ট্যকে ঘিরেই গড়ে ওঠে। মূলত ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যের দিকগুলিই নিও তুলে ধরেছেন।
টাইপ এ: খুব ছটফটে, মারাত্মক প্রতিযোগিতার মনোভাব রয়েছে তাদের মধ্যে। পরিকল্পনা করে কাজ করতে খুব পছন্দ করেন এই জাতীয় ব্যক্তিত্বের মানুষরা। তারা সবসময় মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। কারো গুণ থাকলে তা প্রকাশে সাহায্যও করেন।
টাইপ বি: তুলনামূলকভাবে শান্ত প্রকৃতির। খুব সহজে রেগে যান না। তারা বেশ মিশুকও। কথাবার্তায় একটা উষ্ণতা রয়েছে। মানুষ তাদের আশেপাশে থাকতে পছন্দ করেন। এদের সঙ্গে দেখা হলেই বেশ একটা ভালোলাগা তৈরি হয়। প্রাণোচ্ছ্বল এই মানুষগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল।
টাইপ সি: টাইপ এ-র মতো এই ব্যক্তিরাও রুটিনমাফিক কাজ করতে পছন্দ করেন। যাকে বলে পারফেকশনিস্ট। কিন্তু এরা একা সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করেন। তারা যে মিশুক নন, এমনটা নয়। এরা অত্যন্ত যত্নশীল। বিজ্ঞানী, বিমান চালক, হিসাবরক্ষকরা সাধারণত এই প্রকৃতির মানুষ হন।
টাইপ ডি: এরা একটু দুঃখী প্রকৃতির। নিজের আবেগ সম্পর্কেও এরা সচেতন নন। মজা করে বলা কথাও এরা ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে মনে করেন। অত্যন্ত সংবেদনশীল। সারাক্ষণ এদের ভিতরে একটা চিন্তা কাজ করে। অন্যদের তুলনায় এরা স্বপ্নের জগতে বেশি বিচরণ করে। এরা অন্যের পাশে দাঁড়াতেও পছন্দ করেন।
নিও জানিয়েছেন, মানুষ নিজে যেরকম, তা যদি বুঝতে পারেন, সে ভাবেই নিজেকে গড়ে নিতে পারবেন। নিজের ভালো দিকগুলি বুঝতে হবে। কারণ প্রতিটি মানুষের মধ্যেই ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই বৈশিষ্ট্যই ঠিক করে দেয় তার ব্যক্তিত্ব।