১০ ডিসেম্বর লন্ডন রুটে ড্রিমলাইনারের অভিষেক
ঢাকা-লন্ডন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সবচেয়ে দীর্ঘ রুট। এ ধরনের রুটে হালকা এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী ফ্লাইট চালিয়ে থাকে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে সাশ্রয়ী এয়ারক্র্যাফট হচ্ছে বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ।
সঙ্গত কারণেই বিমানের বহরে নিকট ভবিষ্যতে যুক্ত হওয়া ‘হংসবলাকা’ ঢাকা-লন্ডন রুটে চালানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানের মুখপাত্র শাকিল মেরাজ। তিনি জানান, ডিসেম্বর থেকে বিমানের ঢাকা-লন্ডন রুট ফ্লাইট বাড়ানের পর বহরে থাকা চারটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ এর সঙ্গে লন্ডনসহ বিভিন্ন রুটে চলবে। তবে হংসবলাকার অভিষেক ঘটবে ঢাকা-রন্ডন রুট দিয়ে। এটি হবে হংসবলাকার প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট। এটি বিমানের বহরে যুক্ত হলে এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫টিতে।
হংসবলাকা দিয়ে ঢাকা-লন্ডন রুটে সপ্তাহে ৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও এটি উড়বে ঢাকা-দাম্মাম ও ঢাকা-ব্যাংকক রুটে। দাম্মাম রুটে সপ্তাহে ৪টি এবং ব্যাংকক রুটে ৩টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এর আগে ১৯ আগস্ট বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনার আকাশবীণা ঢাকায় আসে।
উল্লেখ্য, ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে সক্ষম। উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেক্ট্রিক (জিই)। উড়োজাহাজের শব্দ কমাতে ইঞ্জিনের সঙ্গে শেভরন প্রযুক্তি যুক্ত রয়েছে। উড়োজাহাজের নিয়ন্ত্রণ হবে ইলেক্ট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমে। কম্পোজিটম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হওয়ায় এই উড়োজাহাজটি ওজনে হালকা।
ভূমি থেকে উড়োজাহাজটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দু’টি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। এর মোট ওজন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬১৭ কিলোগ্রাম, যা ২৯টি হাতির সমান! এর ককপিট থেকে টেল (লেজ) পর্যন্ত ২৩ লাখ যন্ত্রাংশ রয়েছে।
ড্রিমলাইনারে আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস।