অন্যান্য

ডায়াবেটিস এ কচি আম পাতা ইনসুলিনের মত কাজ করে, যা আপনি নাও জানতে পারেন

ঝিনাইদহের চোখ ডেস্ক:

আম খেতে সবাই পছন্দ করে। আমের স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়েও কারো সন্দেহ নেই। কিন্তু আম পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি যা আনেকেই জানেন না। আম পাতা ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর। আম পাতায় মেঞ্জিফিরিন নামক সক্রিয় উপাদান থাকে যার অপরিমেয় স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। কচি আমের পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি পান করা বা পাতা গুরু করে খাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে আম পাতার ব্যবহার বর্ণনা করা হয়েছে। আম পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আম পাতার ব্যবহার সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও ব্রঙ্কাইটিস, কিডনি ও পিত্তথলির পাথর দূরীকরণে, মাড়ির সমস্যায়, ডায়রিয়া নিরাময়ে এবং পেটের পীড়া প্রশমনেও আম পাতার ব্যবহার আজ সর্বজনস্বীকৃত।

গবেষণায় দেখা গেছে, কচি আম পাতায় ট্যানিনস নামক অ্যান্থোসায়ানিডিন থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়াও এ পাতা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া কমাতে সাহায্য করে- এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

ঘরোয়াভাবে আম পাতার সাহায্যে ডায়াবেটিসের ওষুধ তৈরি করা যায়। অনেক আধুনিক ওষুধ আছে, যা খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিদির্ষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে খাবার খাওয়া যায়, তাহলে এই মারণ অবস্থাকে অনেকটাই কাবু করে রাখা সম্ভব। গুঁড়ো ও রস এই দুই ভাবেই আম পাতা সেবন করা যায়। নিচে সেই প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করা হলোঃ

পদ্ধতি-১ঃ

উপকরন-

আম পাতা ১০-১২ টি

পানি- ২ গ্লাস।

তৈরি প্রক্রিয়াঃ

প্রথমে একটি বাটিতে দেড় গ্লাস পানি নিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে আম পাতাগুলো এতে ঢেলে দেই। তারপর প্রায় ১৫ মিনিট হালকা আঁচে গরম করি। তারপর আঁচ সরিয়ে কক্ষ তাপমাত্রায় আসা না পর্যন্ত অপেক্ষা করি। সারারাত একটি বোতলে সংরক্ষণ করে সকালে উঠে খালি পেটে পান করুন। একটানা ১-২ মাস খেলে আস্তে আস্তে উপকার পেতে শুরু করবেন।

পদ্ধতি-২ঃ

আম পাতাগুলোকে শুকিয়ে নিয়ে সেগুলোকে গুঁড়ো করে পাউডার করে নিন। তারপর প্রতিদিন সকালে ও বিকালে নিয়ম করে এক চামুচ করে খান। দেখবেন প্রথম পদ্ধতির মতই ম্যাজিকের মতো কাজ করছে।

ডায়াবেটিস আসলে কোনো রোগ নয়, এটি একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই অবস্থায় রোগীর শরীর দিন দিন অকেজো হতে থাকে এবং এক সময় মৃত্যু মুখে পতিত হয়। ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক না থাকলে শরীরে শর্করার পরিমান বেড়ে যায় এবং টা কিডনির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ক্রমান্বয়ে নার্ভ, হার্ট, দৃষ্টিশক্তি সব খারাপ হতে শুরু করে। সুতরাং, ডায়াবেটিস এক ভয়াবহ জিনিষ। এর থেকে রক্ষা পেতে সুনির্দিষ্ট নিয়ম পদ্ধতি এখন থেকেই গ্রহণ করতে হবে। এতে একদিকে আমরা যেমন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন লিড করতে পারবো, অন্যদিকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও নিরাপদ থাকবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button