৪ দিন পার, ঝিনাইদহের সাফিন হত্যার ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ
রামিম হাসান, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ শহরের হামদহ শান্তিনগর পাড়ায় দিনে-দুপুরে মেধাবি স্কুল ছাত্র সাফিন আলম হত্যার চারদিন পার হলেও এখনও পুলিশ হত্যার মোটিভ উদ্ধার করতে পারেনি। এ দিকে থানায় হত্যা মামলার পরও তদন্ত কাজে অগ্রগতি ও জড়িত ঘাতকদের খুজে আটক করতে না পারায় স্বজন, এলাকাবাসি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
হত্যার ঘটনার পর থেকে ফেসবুকে তার বিচার চেয়ে সরব হয়েছে গোটা জেলাবাসি। স্কুল ছাত্র মাদক সেবনকারী, চুরি বা ছিনতাইকারীদের হাতে নির্মমভাবে বাসায় খুন হলো সেটি তদন্ত করে জড়িতদের আটকের দাবি জানিয়েছেন গোটা জেলাবাসি।
সুত্রমতে, ঝিনাইদহে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর মেধাবি ছাত্র সাফিন আলম হত্যা মামলাটি ৯৬ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত হত্যার ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি। বুধবার বিকাল চারটার দিকে দিনে -দুপুরে বাসায় একা পেয়ে এ নির্মম হত্যাকান্ডটি গোটা জেলাবাসি মনে দাগ কেটেছে। নিহতের স্বজন এলাকাবাসি দাবি তুলেছে জড়িতদের খুজে বের করে তাদেরকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এরই মাঝে স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক, সহপাঠি ও জেলাবাসি সামাজিক মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই শিশুটিকে মাদক সেবী নাকি পারিবারিক না পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে দাবী করেছেন নিহতের পিতা প্রাক্তন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে কেন্দ্রীয় করবস্থানে বৃহস্পতিবার দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নিহতের পিতা আলম হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের তদন্তের কাজের অগ্রগতি নেই বলে তার স্বজন প্রতিবেশি ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা শিশু হত্যার কারন উদঘাটন না করতে পারার কারনে সবাই আতংকে আছে তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে।
ইতিমধ্যে এ মেধাবি ছাত্র হত্যার পর থেকে ফেসবুকে বিচার চেয়ে শত শত মানুষ পোষ্ট দিচ্ছেন, চালিয়ে যাচ্ছেন সামাজিক আন্দোলন। যার কারনে গোটা মানুষের কাছে এ হত্যাকান্ডটি আলোচিত হয়ে উঠেছে।
সরকারী বালক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সফিয়ার রহমান অবিলম্বে হত্যার সাথে জড়িতদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
তবে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন পারিবারিক শত্রুতা থাকতে পারে তা না হলে মাদকসেবিদের হাতেই সাফিন খুন হতে পারে বলে ধারনা করছেন।
এ বিষয়ে সদর সার্কেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস জানান, মামলাটি তদন্তাধিন রয়েছে। আসামীদেও গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোন সময়ে হত্যার ক্লু উদ্ধার করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য- শহরের হামদহ শান্তিনগর পাড়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলমের ছেলে সাফিন আলম। গত বুধবার বিকাল চারটার দিকে বাড়িতে প্রবেশ করে দুর্বত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সোনা ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়।