ঝিনাইদহ হানাদারমুক্ত দিবস আজ
মুক্তিপাগল দামাল ছেলেরা দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার ও তাদের এদেশের দোসরদের হটিয়ে ঝিনাইদহকে শত্রুমুক্ত করে। মুক্তির আনন্দে সেদিন রাস্তায় নেমে আসে নারী-পুরুষ সহ সর্বস্তরের মানুষ। উল্লাসে আর আনন্দে সেদিন তারা ফেটে পড়ে। তবে এদেশকে মুক্ত করতে যারা অকাতরে জীবন বির্সজন দিয়েছিল আজও তাদের অনেকের কবর অরক্ষিত।
মুক্তিযোদ্ধা মনসের আলী জানান, ৭ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষনের পর-পরই তার নির্দেশ মত যার যা ছিল তাই নিয়ে ঝিনাইদহের দামাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। ভারত থেকে প্রশিক্ষন শেষে তারা পাক হানাদারদের সাথে অসংখ্য সম্মুখ সমরে যুদ্ধে অংশ নেয়।
মুক্তিযোদ্ধা তোয়াজ উদ্দিন জানান, ঝিনাইদহ শহরকে শত্রু মুক্ত করার জন্য মিত্র-বাহীনিকে সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে সাড়াশি আক্রমন চালিয়ে ৬ ই ডিসেম্বর ঝিনাইদহকে হানাদার মুক্ত করে।
মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড ও সাবেক জেলা কমান্ডার মোঃ মকবুল হোসেন জানান, যুদ্ধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হচ্ছে ১ এপ্রিল সদর উপজেলার বিষয়খালী সম্মুখ যুদ্ধ. ৪ এপ্রিল শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ, ৪ আগষ্ট একই উপজেলার আলফাপুর যুদ্ধ ১৪ অক্টোবর আবাইপুর যুদ্ধ, ২৬ নভেম্বর কামান্না যুদ্ধ এবং শৈলকুপাকে মুক্ত করার জন্য ৮ এপ্রিল, ৬ আগষ্ট, ১৭ আগষ্ট ও ১১ই নভেম্বরের যুদ্ধ। এসব যুদ্ধে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
জানা যায়, শহীদ এ সব মুক্তিযোদ্ধাদের কবর আজও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শহীদদের এসব কবরস্থান ঝড়ে-জঙ্গল পরিপুর্ন।
জেলা প্রশাসক ও প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড সরোজ কুমার নাথ জানান, এ দিবস উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসুচি হাতে নেওয়া হয়েছে।