ঐতিহাসিক যাত্রাপালা “বিল্পবী বাঘা যতীন” ঝিনাইদহে মঞ্চস্থ
ভারতীয় উপ মহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নি পুরুষ বিল্পবী বাঘা যতীতের জন্ম দিন উপলক্ষে রোজ শুক্রবার ৭ ই ডিসেম্বর রাত ৮ টায় ঝিনাইদহ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের সার্বিক সহযোগিতায় ঝিনাইদহ পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্তরের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহাসিক যাত্রপালা বিল্পবী বাঘা যতীন।
এই ঐতিহাসিক যাত্রা পালার রচয়িতা সরোয়ার জাহান বাদশা।এই যাত্রা পালায় বিল্পবী বাঘা যতীনের চিন্তা ভাবনা ও বিল্পবী জীবন তুলে ধারা হয়েছে। এই যাত্রার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে যে বিল্পবী বাঘা যতীন ১৮৭৯ সালে বৃহত্তর যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহাকুমার অন্তর্গত হরিনাকুন্ডু থানার ঋশখালী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে। ৫ বছর বয়সে বাবা মারা যাবার পর কুষ্টিয়া জেলার কুমার খালী থানার অন্তর্গত কইয়া গ্রামে নানার বাড়িতে চলে যান। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ব্যাপী মঞ্চস্থ যাত্রা অভিনয় মনোযোগ সহকারী উপভোগ করে।
উল্লেখ্য যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বিল্পবী বাঘা যতীন ১৮৭৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ জেলার অন্তর্গত হরিনাকুন্ডু থানার ঋশখালী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে। সে একজন বাঙালি ব্রিটিশ-বিরোধী বিপ্লবী নেতা। সে বাঘা যতীন নামেই সকলের কাছে সমধিক পরিচিত।
সে ভারতে ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। বাঘা যতীন ছিল বাংলার প্রধান বিপ্লবী সংগঠন যুগান্তর দলের প্রধান নেতা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পূর্বে কলকাতায় জার্মান যুবরাজের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে সে জার্মানি থেকে অস্ত্র ও রসদের প্রতিশ্রুতি অর্জন করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জার্মান প্লট তাঁরই মস্তিস্কপ্রসূত। সশস্ত্র সংগ্রামের এক পর্যায়ে সম্মুখ যুদ্ধে উড়িষ্যার বালেশ্বরে গুরুতর আহত হন এবং ১৯২৫ সালের ২৫ সে সেপ্টম্বর বালাসোর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।
এন্ট্রান্স পরীক্ষা পাস করার পর সাঁটলিপি ও টাইপ শেখেন এবং পরবর্তী সময়ে বেঙ্গল গভর্নমেন্টের স্ট্যানোগ্রাফার হিসেবে নিযুক্ত হন। যতীন ছিলেন শক্ত-সমর্থ ও নির্ভীক চিত্তধারী এক যুবক। অচিরেই একজন আন্তরিক, সৎ, অনুগত এবং পরিশ্রমী কর্মচারী হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেন। একই সঙ্গে তাঁর মধ্যে দৃঢ আত্মমর্যাদা ও জাতীয়তাবোধ জন্মেছিল।