চুরি ঠেকাতে ঝিনাইদহে কৃষকের ক্ষেত পাহারা
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের চন্ডিপুরসহ কয়েকটি গ্রামের বাদাম চাষিরা চুরি ঠেকাতে রাত জেগে বাদাম ক্ষেত পাহার দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাদাম চাষিরা জানান, সাধারনত ভাদ্র ও ফল্গুন দুই মৌসুমে বাদাম বপন করা হয়। এটা স্বল্প মেয়াদি ফসল। বিঘা প্রতি জমিতে খরচের তুলনায় দ্বিগনের বেশি ভাল হয়। বিক্রিতে বাজারে চাহিদা সব সময়ই ভাল থাকে। কাঁচা বা শুকনা উভয় অবস্থাতেই বিক্রি করা যায়। এখন বাদাম চাষিরা জমি থেকে বাদাম তুরতে শুরু করেছে।
চন্ডিপুরের বাদাম চাষি আব্দুর রশিদ বলেন, এ বছর চন্ডিপুর, লক্ষীপুর, শংকরপুর পাশের কয়েকটি গ্রামে বাদাম চাষ করেছে। দিনিদিন আগ্রহ বাড়ছে এ আবাদে। তিনি আরো বলেন, এবছর আড়াই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন।
বাদা চাষি আবু জাফর, বিশারত আলি বলেন, কয়েক দিন হল চাষি মাঠেই বাদাম তুলতে শুরু করেছে। মাঠেই বাদাম শুকানোর কাজটি শেরে নিচ্ছে। বর্তমানে চাহিদা ও বাজার দাম অনেক ভাল তাই চুরি হতে রক্ষা করতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, কৃষকরা মাঠেই বাঁশের কঞ্চি আর উপরে পলিথিন দিয়ে কুড়ে ঘর তৈরি করেছেন। যা দুর থেকে দেখলে মনে হচ্ছে, বেদে পল্লির লোকজন বসবাসের জন্য উপযোগি করে তুলেছেন। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। গ্রামের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত বাদাম রাতের আধারে চোরদল চুরি করতে না পারে। তাই রাতের শিশর কোয়াশা থেকে রক্ষাপেতে এমনভাবে ঘর তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় উপসহকারি কর্মকর্তা আমির হোসেন মন্ডল বলেন, চন্ডিপুর ব্লকে ৭ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ করেছে চাষিরা। দিনদিন চাষিরা বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে। ##