মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে যেসব ক্ষেত্রে
সমাজে ছেলেদের থেকে মেয়েদের অনেক দুর্বল ভাবা হয়। বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের প্রাধান্য দেয়া হয়। কিন্তু মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই অনেক ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
গন্ধ চেনে: নারীর নাক পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাই যে কোনো সুগন্ধ বা গন্ধ নারীর নাকে আগে এসে পৌঁছায়। কারণ নারীদের মস্তিষ্কের গন্ধকেন্দ্রের নার্ভে ক্রসসংযোগ থাকে পুরুষেদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি। এ কারণে সুগন্ধি তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো নারীদের কর্মসংস্থান বেশি হয়ে থাকে।
অনুভূতি: অনুভূতির ক্ষেত্রে নারী যে এগিয়ে সেকথা হয়তো সবার জানা। নারীর নরম হাতের প্রতিটি নার্ভসেলের স্কয়ার সেন্টিমিটার পুরুষের শক্ত হাতের নার্ভসেলের চেয়ে বড়। এজন্য সংবেদনশীল পণ্য উৎপাদন, যাচাই-বাছাইয়ে নারীদের রয়েছে বিশেষ দক্ষতা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরুষের তুলনায় বেশি। নারীর সেক্স হরমোন ‘ইস্ট্রোজেন’-এর কারণে এটি হয়ে থাকে। তাছাড়াও ‘ইস্ট্রোজেন’ নারীর রক্তনালীকে সুরক্ষা করে এবং নারীর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করে থাকে।
নারীর শান্ত স্বভাব: ‘ইস্ট্রোজেন’ নারীর স্ট্রেস হরমোনকে একদিকে যেমন দমন করে, তেমনি অন্যদিকে বড় ধরনের কোনো স্ট্রেসের সময়ও নারীকে শান্ত রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
চিন্তা ও ভাষার ভিন্নতা: মাতৃগর্ভে থাকাকালীন অবস্থায়ই শিশু মস্তিষ্কে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন এবং নারী হরমোন ইস্ট্রোজেন আলাদাভাবে বিকাশ ঘটে। বহু গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের চিন্তা-ভাবনা, বোঝার ক্ষমতা বা অনুভূতি অনেক গভীর হয়। তাছাড়া মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় অনেক সহজ ভাষায় তাদের মনের ভাব বা কোনো কঠিন কথাও সহজে বলে ফেলতে পারে।
বিনিয়োগে সচেতনতা: গবেষণায় জানা গেছে, পুঁজি বা শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের লাভ হয় শতকরা দুই ভাগ বেশি। কারণ অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপারে মেয়েরা বেশি সচেতনতার পরিচয় দিয়ে থাকে।
গাড়ি চালনায় সতর্কতা: আইনে নির্ধারিত গতীর চেয়ে বেশি গতি গাড়ি চালান মাত্র ২১ ভাগ নারী। সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় সব ঘটনাই ঘটে পুরুষের হাতে।
সূত্র: ডয়চেভেলে।