ঝিনাইদহে সাংবাদিকের উপর হামলা, অফিস ভাংচুর : লুটপাট ; জড়িতদের অাটক ও শাস্তির দাবি

রাজিব হাসান, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ শহরের অাজাদ রেষ্ট হাউজের পাশে সাংবাদিকদের অফিসে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, ডিবিসির জেলা প্রতিনিধি অাব্দুর রহমান মিল্টন ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক জহিরকে মারাত্বক জখম করা হয়েছে। কারা, কেন, কি কারনে এ হামলা করেছো জেলার শহরবাসী সবাই চেনে, জানে ; চোখের সামনে ঘটনা দেখলেও বলা যায় না, তারা কারা :সবাই চিনলেও বলতে হয় দুর্বৃত্তরা। ঘৃনা জানানোর কোন ভাষা নেই।
যে মিল্টন বাম চেতনা, প্রগতিশীল মানুষ, তাকে হামলাকারীরা জামায়াতপন্থি বানানোর অপচেষ্টা চালিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে গুটি কয়েক ফেসবুকে ষ্টাটাস দিয়েছেন।
তাদেরকে বলি, অাপনারা সাংবাদিকের উপর দমন পিড়ন চালিয়ে যাদের শেল্টার নিচ্ছেন, দুদিন পরে তাদের খুজে পাওয়া যাবে না। সাধু,সাবধান।
গত ২০০৫ ও ২০১৩ বিএনপি ও জামায়াতের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম। তখন প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম, পাশে পেয়েছিলাম কিছু সংবাদ কর্মীদের। ভয়তে মামলা পর্যন্ত করতে পারেনি। একাত্তর টিভি ও পত্রিকা অফিস অামার পাশে ছায়ার মত ছিলো সব সময়। তাদের কাছে সব সময় ঋনি।
গতকাল রাতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার পরিচয় দিয়ে যারা কথিত নামধারি সাংবাদিকদের কথা শুনে এমন বর্বরতা, নাশকতা, সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়েছেন সেটির বিচারও হবে। বেশি দুরে নই, এ পেশায় যখন এসেছি মৃত্যুর সনদ জমা দিয়েই কাজ করি : মরা অার বাচিয়ে রাখার মালিক অাল্লাহ ;
হামলাকারীরা অামাকে খুজেছিলো বলে অাহত সাংবাদিক অাব্দুর রহমান মিল্টন জানান, তাদেরকে বলি, বলুন কোথায় অাসবো, মারবেন, মারুন, অাপনারাতো ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় দিচ্ছেন?
অার এখনতো সবাই সরকারী দল করে, ঘাপটি মারে রয়েছে, এদের মুখোশ উন্মোচিত হবেই?
তবে একটি কথা জানিয়ে রাখি,অাজ অামাদের সহকর্মী হাসপাতালে যন্ত্রনায় ছটফট করছে, কিছু সাংবাদিক মনে মনে খুশি হয়েছে, তাদেরকে বলি কাওকে ক্ষতি করলে নিজেও পড়তে হবে : সামনের দিন সব কিছু দেখতে পারবো? কারোর জন্য কুয়া কাটলে, সেটি নিজেও পড়তে হয়।
অামারতো মনে হয় অাপনারা জামায়াত-শিবির থেকে দলে ঢুকে সরকারের ভাবমূর্তি ধ্বংশ করতে চলেছেন।
হামলাকারীরা কারা, কাদের ইন্ধনে সন্ত্রাসী বাহীনি ভাড়া করে তান্ডবনীলা চালালো সেটি খুজে বের করে অবিলম্বে জড়িতদের অাটক করার দাবি জানাচ্ছি।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব এর পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও র ্যাবের কোম্পানী কমান্ডার, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন ইউনিট জড়িতদের অাটক করার বিষয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
সাংবাদিক অাহত হওয়ার ঘটনায় জেলা অাওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, সদর থানা অাওয়ামীলীগের সভাপতি অাব্দুর রশিদ, পৌর অাওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুবলীগের নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল,ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানিয়েছেন ও জড়িতদেের অাটকের দাবি জানিয়েছেন।