শীতে ছেলেদের চুলের যত্ন

সুন্দর চুল মানুষকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। তাই শুধু মেয়ে নয় ছেলেদেরও এ ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া উচিত। তবে শীত এলে কেন যেন চুল উসকো খুশকো হয়ে যায়। তাই শীতে পুরুষদের চুল স্বাস্থ্যবান রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হলো-
১. চুলে ব্যবহারের পণ্য সতর্কতার সাথে নির্বাচন করুন। চুল ধুতে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং পরে ডীপার কণ্ডিশনার ব্যবহার করুন যাতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা শীতের কারণে চুল পড়ে না যায়।
২. শীতে অনেকের চুল পড়তে দেখা যায়। এই চুল পড়া রোধে তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে হালকা গরম করে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তাতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে চুলে লাগান।
৩. শীতের দিনগুলিতে সবচেয়ে বেশি উপকারে আসে হট অয়েলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, বাদাম তেল বা যেকোনো চুলে লাগানোর তেল হালকা গরম করে নিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে করে লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৪. শীতের দিনে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় মাথার ত্বক ময়েশ্চার হারায় ফলে কম বেশি সবাই এই সময়ে খুশকির সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আধা কাপ অলিভ অয়েল হালকা গরম করে এর সাথে এক ফালি লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ৪৫ মিনিট রেখে হালকা কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার এভাবে চুলের যত্ন নিন।
৫. শীতে বেশির ভাগ মানুষের চুল রুক্ষ আর শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ চুলের জন্য আধা কাপ পালং শাক, ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল নিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো মতো ব্লেন্ড করুন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলে সিল্কি ভাব আসবে ও চুল হবে মসৃণ প্রাণবন্ত।
৬. শীতের সময়ে গোসলের পর চুল শুকোতে অনেক সময় লেগে যায়, আবার ভেজা চুল নিয়ে বাইরে যাওয়াও সম্ভব নয়। তাই গোসলের পর তোয়ালেতে সব টুকু পানি মুছে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে মাঝে মাঝে চুল শুকাতে পারেন। হেয়ার ড্রায়ার সবসময় কম তাপমাত্রায় ব্যবহার করুন।
৭. শীতের দিনে চুল রুক্ষ হয়ে ফেটে যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। তাই চুলে কোন রকমের ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিলেই দেরি না করে চুল ছেঁটে নিন।
পাশাপাশি নিয়ম মেনে নিয়মিত যত্ম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ঠিকমতো খাবার-দাবার গ্রহণ ও ভালো ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।