অন্যান্য

জনসন পাউডার পরীক্ষা করবে বিএসটিআই

ঝিনাইদহের চোখঃ

দেশে বিক্রি হওয়া জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডারে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা তা পরীক্ষা করবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।

বিষয়টি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন বিএসটিআইয়ের পরিচালক এস এম ইসহাক আলী।

তিনি বলেন, বিষয়টিকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। বাজার থেকে জনসন বেবি পাউডারে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ক্ষতিকারক অ্যাজবেস্টস আছে কিনা তা জানতে পরীক্ষা করা হবে।

কোথায় পরীক্ষা করা হবে- জানতে চাইলে ইসহাক আলী বলেন, এটি পরীক্ষা করার সক্ষমতা আমাদের নেই, বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয়া হচ্ছে। দেশে করা সম্ভব না হলে বিদেশে নমুনা পাঠিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। এর পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক এই কোম্পানির বেবি সোপ, লোশন, পাউডারসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। অনেক বাবা-মা নিরাপদ মনে করেই তাদের সন্তানদের জন্য এসব পণ্য ব্যবহার করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েক জন নারী। এরপর তারা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলার রায়ে আদালত গত জুলাইয়ে ২২ নারীকে ৪৭০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন।

ওই নারীরা আদালতে অভিযোগ করেন, বিগত কয়েক দশক ধরে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার ও অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করায় তারা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অভিযোগকারী ২২ নারীর মধ্যে ছয় জন ইতোমধ্যেই মারা গেছেন।

জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে এ ধরনের আরও অন্তত নয় হাজার মামলা রয়েছে যুক্তরষ্ট্রের বিভিন্ন আদালতে।

গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বেশ কয়েক দফা পরীক্ষায় অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি ধরা পড়লেও তা গোপন করে বিক্রি চালিয়ে গেছে জনসন অ্যান্ড জনসন।

রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভারতের মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেখানে জনসন অ্যান্ড জনসনের কারখানা থেকে বেবি পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠায়। ভারতে উৎপাদিত ওই ট্যালকম পাউডার বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপেও বিপণন করা হয়।

এদিকে জনসন অ্যান্ড জনসন রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনকে ‘একতরফা, মিথ্যা ও রঙ চড়ানো’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডারকে অ্যাজবেস্টসমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে তা নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়। ভারতে তারা সরকারের বেঁধে দেয়া মান অনুসরণ করেই পণ্য উৎপাদন করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button