সঞ্চয় বাড়াবেন যেভাবে

ঝিনাইদহের চোখঃ
আয় যেমনই হোক, কম বা বেশি, প্রত্যেকেরই উচিত ভবিষ্যতের জন্য কিছুটা অর্থ সঞ্চয় করা। কিন্তু আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমতা রক্ষা করে আয়ের একটা অংশ তুলে রাখা সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু তাই বলে তো আর প্রয়োজনীয় খরচে কাটছাঁট করা যায় না। তবে প্রতিদিনের অহেতুক কিছু খরচ কমাতে পারলে প্রতিদিনই সামান্য কিছু টাকা বেঁচে যায়। আর মাসের শেষে সে অঙ্কটা মোটেও খুব একটা কম হয় না।
প্রতিদিনের এমন কিছু অহেতুক খরচ কমিয়ে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়ান। শুধু তাই-ই নয়, টাকা জমানোর কিছু সহজ উপায়ও অবলম্বন করতে পারেন:
১. চা-কফির নেশা অনেকেরই থাকে। তা বন্ধ করাও কঠিন। তবে প্রতিদিন কি খুব দামি ব্র্যান্ডেড দোকান থেকেই চা-কফি খান? সে অভ্যাসে রাশ টানুন।
২. বাসার বিদ্যুতের বিলে রাশ টেনেও কিন্তু কিছুটা টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। আমরা প্রায়ই ঘরের লাইট-ফ্যান ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক জিনিস ব্যবহারের পর তা বন্ধ করতে ভুলে যাই। এই অভ্যাস বদলান। ব্যবহার শেষ হলেই বন্ধ করুন সুইচ। এতে বিদ্যুতের বিলের খরচে রাশ টানা সম্ভব হবে।
৩. অনলাইন শপিংয়ের ব্যবহার ও অপব্যবহার নিয়ে সচেতন থাকুন। প্রায় সারা বছরই অনলাইনে নানা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জিনিসের ওপর ছাড় দিয়ে থাকে। দৈনন্দিন বা নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সময় সেসব ছাড় ব্যবহার করতে পারেন। আবার অনলাইন শপিংয়ের নেশায় পড়ে অনেক জিনিস একসঙ্গে কিনে ফেলা বা অপ্রয়োজনেও ঘন ঘন শপিং করার অভ্যাস বদলান।
৪. প্রতিদিনের খরচের ওপর নির্ভর করে একটা বাজেট করে নিন। পারলে সেই বাজেটের মধ্যেই থাকার চেষ্টা করুন। যে দিন খরচের হার বাড়বে, চেষ্টা করুন পরে কোনও দিন তা কমিয়ে সমতা রাখতে। প্রতিদিন বেঁচে যাওয়া টাকা একটা জায়গায় জমান। দিনের নিরিখে অল্প মনে হলেও, মাসের শেষে ওই কয়েকশো টাকাই কাজে আসতে পারে।
৫. ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করুন ভেবেচিন্তে। পোস্ট অফিস, ব্যাংক, নানা সরকারি বিমা সংস্থা এগুলি টাকা জমানোর গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। অল্প কিছুটা করে টাকা সেখানে জমাতে পারলে তা ভবিষ্যতে কাজে আসবে।
৬. প্রতিদিন স্বল্প হারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমাতে চেষ্টা করুন। সেটা দশ-বিশ টাকাও হতে পারে। এজন্য কিনে নিতে পারেন মাটির ব্যাংক। বছর শেষে এই সঞ্চয়ই আপনাকে একটি বড় অংকের টাকা হাতে তুলে দেবে।