ব্যালান্সড ডায়েটে যেসব উপাদান থাকা প্রয়োজন

ঝিনাইদহের চোখঃ ভালবাসেন, ডায়েটের নাম শুনলেই তাদের বুকে শেল বেঁধে। তবে ডায়েট করা মানেই কিন্তু পছন্দের খাবারগুলোকে ব্লক লিস্টে পাঠানো নয়।
আধুনিক গবেষণা অন্তত তা-ই বলছে। কোন খাবার কতটা পরিমাণে খাবেন অর্থাৎ খাবারের গুণগত ও পরিমাণগত দিকটি হবে বিবেচনার প্রথম বিষয়।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেশার, সুগার, কোলেস্টেরল, থাইরয়েড ও ইউরিক অ্যাসিড যেন বেড়ে না যায়, সেই জন্য ছোটবেলা থেকেই ব্যালান্সড ডায়েট বা সুষম খাবারের অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে।
ডায়াটেশিয়ান মতে, মেটাবলিক ডিজঅর্ডারের (প্রেশার, সুগার, ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদি) অন্যতম কারণ ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভাস। এর সঙ্গে জিনগত ফ্যাক্টর, স্ট্রেস, দূষণের মতো বিষয়গুলো জুড়ে গিয়ে কুড়ি বছরের কম বয়সিদের মধ্যেও ইদানীং এই ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তবে মনে রাখবেন, প্রতিটি মানুষের ক্যালরির চাহিদা আলাদা। এবং সেটি নির্ধারিত হয় লিঙ্গ, উচ্চতা, ওজন ও কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী।
জেনে নিন ব্যালান্সড ডায়েটে যেসব উপাদান থাকা প্রয়োজন-
ফাইবার:
দেখে নিন আপনার খাদ্যতালিকায় যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার আছে কিনা। বদহজম আর কনস্টিপেশন হতে থাকলে কিন্তু আপনার ওজন কখনওই কমবে না। ফাইবার আপনার এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। শাকসবজি, বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি, স্যালাড যেন রোজের খাদ্যতালিকায় থাকে। ডাল, লাল চাল, ভুষিসুদ্ধ আটার রুটি/পাউরুটি ফাইবারের জোগান অটুট রাখবে। গোটা ফলেও প্রচুর ফাইবার থাকে।
ফ্যাট:
ট্রান্স ফ্যাট বা বাইরে থেকে কেনা সব ডিপ ফ্রায়েড খাবার থেকে দূরে থাকুন। বদলে খাদ্যতালিকায় রাখুন ঘি, সরষের তেল, তিলের তেল, আখরোজ, কাজু, আমন্ডের মতো বাদাম।
প্রোটিন:
দুধ, দই, ছানা, ডিম, চিকেন, ছোলা-মুগ, ছাতু, মাছ ইত্যাদি সবেতেই প্রোটিন আছে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খানিকটা প্রোটিন রাখাটাও খুব জরুরি। আপনার শরীরের জন্য ঠিক কতটা প্রোটিন দরকার, সেটা বলে দেবেন পুষ্টিবিদ।
কর্বোহাইড্রেট:
প্রতিবার খাওয়ার সময় অন্তত ৪০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট পাতে রাখবেন। তবে হ্যাঁ, সাদা ভাতের চেয়ে যেহেতু লাল চালের ভাত, ওটস বা জোয়ার-বাজরা জটিল কার্বোহাইড্রেট তাই এগুলিকে প্রসেস করতে শরীরেরও বেশি সময় লাগবে। রাতের দিকে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণটা কমিয়ে দিন।
ভিটামিন ও মিনারেল:
তাজা ফল, সিডস, বাদাম, শাকসবজি থেকে পাবেন আপনার রোজের প্রয়োজনীয় মিনারেল।