অন্যান্য

ওষুধ ছাড়াই পিরিয়ডের ব্যথা দূর করার উপায়

ঝিনাইদহের চোখঃ

অন্যান্য দিনগুলোতে ফুরফুরে থাকলেও মাসের বিশেষ কয়েকটি দিন যেন ম্লান হয়ে থাকে মেয়েদের। পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথা, কোমর ও পেশীর নানা সমস্যা, ক্লান্তি, অবসাদ ঘিরে ধরে। এই মেয়েলি সমস্যার নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ কাজ করে। তবে নিয়ম করে কিছু বিষয় মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। জেনে নিন ওষুধ ছাড়া আরামের উপায়।

সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০-৩৫ মিনিট যোগব্যায়াম করলে ৬ মাসের মধ্যেই হরমোনঘটিত কারণে ঘটা পিরিয়ডের সমস্যা অনেকটাই কমে। মানসিক অবসাদ কাটাতেও সাহায্য করে যোগাসন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাই শুরু করতে পারেন যোগাসন।

পিরিয়ডের জটিলতা দূরে রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরি। অনেক সময় পলিসিস্টিক ওভারির কারণেও ওজন বেড়ে যায় ও পিরিয়ডের সমস্যা দেখা যায়। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। পিরিয়ডের সমস্যা কমাতে ওজন বাড়তে পারে যে সব কারণে, তা থেকেও দূরে থাকুন।

অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। খাবার সংরক্ষিত করে রাখার জন্য ব্যবহৃত প্রিজারভেটিভ সহজেই শরীরের ওজন বাড়ায়। তা থেকেও পিরিয়ডের সমস্যা বাড়ে। তাই শরীরচর্চা, দৌড়োদৌড়ি ছাড়াও খাবারের বিষয়েও সচেতন থাকুন।

আদার জিঞ্জেরল ও সোগাওল রক্তের প্রাবল্য কমায়। ফলে পিরিয়ডের যন্ত্রণার ভাগও কমে অনেকটাই। তাই পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও যন্ত্রণা প্রতিরোধে রান্নায় আদা যোগ করুন। আদা ভেজানো পানি ডায়েটে রাখতে পারেন। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পিরিয়ডের সময় ৭৫০-২০০০ মিলিগ্রাম আদাগুঁড়া পিরিয়ডের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয় সহজেই।

আদার মতোই দারুচিনি গুঁড়াও এই অসুখ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। পলিসিস্টিক ওভারির জটিলতা কমাতে, পিরিয়ডের সময় গা বমি ভাব দূর করতে ও যন্ত্রণাদায়ক রক্তপাত রুখতে দারুচিনি অত্যন্ত কার্যকর। অনিয়মিত পিরিয়ডকে নিয়মিত করতেও দারুচিনি কাজে আসে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি। টুনা মাছ, মাংস, ডিমের কুসুম, চিজসহ নানা দুগ্ধজাত পদার্থ, কলা, বিন ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন ডি ও বি থাকে। পিরিয়ডের জট কাটাতে এসব যোগ করুন ডায়েটে। গর্ভবতীর ডায়েটেও এই দুই ভিটামিনকেই প্রাধান্য দেন চিকিৎসকরা। মেয়েলি শারীরিক সমস্যা সারাতে এদের জুড়ি নেই।

প্রতিদিন ১৫ মিলিলিটার অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেলে ওজন তো কমেই, সঙ্গে রক্তচাপ ও ইনসুলিনের পরিমাণও নিয়ন্ত্রিত হয়। পিরিয়ডের সময় শরীরের সব কলকব্জাকে প্রস্তুত রাখতে ও রক্তপাতের ধকল সামলাতে এই পানীয়ের জুড়ি নেই।

পিরিয়ডের যন্ত্রণা কমাতে পারে আনারস। আনারসে থাকাব্রোমেলিন অ্যান্টিইনফ্লেমটরি। প্রাকৃতিক বেদনানাশক হিসাবেও এর সুনাম আছে। আজকাল সারা বছরই আনারস পাওয়া যায়। তবে আনারসের প্যাকেটজাত রস বা অসময়ের আনারস না খাওয়াই ভালো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button