ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

বনায়ন আন্দোলন সবুজে ঢেকে গেছে ঝিনাইদহের গ্রাম

ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহে গাছে গাছে ভরে উঠছে ধরিত্রী। গ্রামগুলো সবুজে ঢেকে গেছে। এ জেলায় বনায়ন একটি আন্দোলনের রূপ পেয়েছে।

ব্যাপক বৃক্ষ নিধনের ফলে এক সময় ঝিনাইদহ জেলায় বনের পরিমাণ একেবারেই কমে গিয়েছিল। ১৯৮০ সালের পর মানুষ নতুন করে বন সৃজনে ঝুঁকতে থাকে। মানুষ বুঝতে পারে গাছেই সমৃদ্ধি। তারা নতুন করে গাছ লাগাতে শুরু করে। হাট থেকে বাজার করে ফেরার পথে অন্যান্য সওদার সঙ্গে একটি গাছের চারা কিনে নিয়ে যেত। বাড়ি ফিরে ফাঁকা জায়গায় যত্ন করে লাগাত। একজনের দেখাদেখি অন্যরাও গাছ লাগাতে শুরু করে। পাশাপাশি সরকারও পরিবেশ রক্ষায় বন সৃজনে নজর দেয়। সামাজিক বনায়ন ও অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় বৃক্ষ রোপণ চলতে থাকে। এরপর মানুষ বাণিজ্যিকভাবে বৃহত্ পরিসরে বন সৃজন শুরু করে। আম, লিচু, কাঁঠাল, কুল ও পেয়ারার বাগান করতে থাকে। ফলের বাগান করে মানুষ ভালো লাভবান হয়।

এখন আর গ্রামে বন সৃজনের মতো পতিত জমি নেই বললেই চলে। প্রতিটি বাড়ির চারপাশে গাছে ভরে গেছে।

জেলা বন দপ্তরের কর্মকর্তা খোন্দকার মো. গিয়াসউদ্দিন দাবি করেন এ জেলায় মোট জমির ২৫ ভাগের বেশিতে বন সৃজন হয়েছে। গাছ লাগানোর মতো ফাঁকা জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। ফসলি জমিতে ফলের বাগান করছে।

জেলা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি মীর গোলাম নবী জানান, এ জেলায় ২০০টি নার্সারি আছে। এসব নার্সারিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রয়েছে। সেখান থেকে বছরে কোটির উপরে চারা বিক্রি হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button