গাঁজা সেবনে হতে পারে অণ্ডকোষে ক্যানসার!
ঝিনাইদহের চোখঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন, গাঁজা সেবনের ফলে ফুসফুসের ক্ষতির পরিমাণ তামাক পাতা দিয়ে ধূমপানের চেয়ে কম। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ গবেষণাতেই গাঁজার ক্ষতিকারক দিকগুলোই বেশি সামনে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতে, গাঁজা সেবনের ফলে অণ্ডকোষে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। এছাড়াও আরও নানা ঝুঁকি রয়েছে গাজা সেবনে। আসুন জেনে নিই গাজা সেবনে শারীরিকভাবে কী কী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন-
স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে গাঁজা
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণা উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। টানা ২০ বছর ধরে চলা গবেষণার পর তাদের গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, গাঁজা মানুষের স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেয়।
কারণ, গাঁজা মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। দীর্ঘদিন গাঁজা সেবনের অভ্যাস স্মৃতিশক্তিকে ক্রমশ দুর্বল করে দেয়। তবে এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে।
রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয় গাঁজাতে
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গাঁজা সেবনের ফলে মানুষের শরীরের ধমনী ও শিরা অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিগারেটের মতো করে গাঁজার ধোঁয়া টানার ফলে মানুষের স্বভাবিক রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।
পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করে গাঁজা
একদল মার্কিন গবেষকদের মতে, গাঁজা সেবনের ফলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়াও হৃৎস্পন্দনের গতি বৃদ্ধি, মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ বৃদ্ধির আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় গাঁজা
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গাঁজা সেবনের পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সাধারণ অবস্থার তুলনায় চার গুণ বেড়ে যায়।
অনেক মানুষের বিশ্বাস বা ধারণা, গাঁজা সেবনের ফলে মানুষের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধারণাকে একেবারে ভুল প্রমাণিত করে নেদারল্যান্ডের একদল গবেষক দাবি করেছেন, গাঁজা মানুষের সৃজনশীল ক্ষমতাকে ক্রমশ অকেজো করে দেয়। নষ্ট করে দেয় জ্ঞান বুদ্ধিও।