জন্মসনদে বয়স কমানোর হিড়িক: ইসলাম কী বলে?
ঝিনাইদহের চোখঃ
স্কুলে ভর্তি, সরকারি চাকরি, বিয়েশাদীতে অনেক অভিভাবকই তাদের অধিনস্তদের জন্মসনদের বয়স কমিয়ে থাকেন।আমাদের সমাজে জন্মসনদের বয়স কমানোর ট্রেন্ড চালু হয় অনেক আগেই। তবে সাম্প্রতিক সরকার নতুন নতুন আইন করায় এনআইডি সংশোধনীতে বয়স কমানোর ‘হিড়িক’ লেগেছে।
এর উদ্দেশ্য থাকে ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার গঠনে সরকারী চাকুরী ইত্যাদিতে সুবিধা অর্জন। এটা তারা করে থাকেন একদমই স্বাভাবিকভাবে – যেন এটা অনুচিত কিছুই না। অথচ এটি একটি মিথ্যা। মিথ্যা একটি মারাত্মক চারিত্রিক ব্যাধি। আপনি কি ভেবে দেখেছেন, আপনার সন্তানের জীবনের শুরুতেই আপনি সচেতন বা অসচেতনভাবে এই ব্যাধির বীজ বপন করে দিচ্ছেন?
কেউ এমনটি করে থাকলে অবশ্যই গুনাহগার হবেন। তাই, যদি কোনভাবে বয়স ঠিক করা সম্ভব হয় তবে তা-ই করতে হবে। জানা মতে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নিকট থেকে জন্মসনদ এবং শিক্ষাবোর্ড থেকে সার্টিফিকেট সংশোধন করা যায়। আর যদি কোনভাবেই সম্ভব না হয়, তাহলে একনিষ্ঠভাবে তাওবা ও ইস্তেগফার করে নিতে হবে।
ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন,
إنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى البِرِّ، وَإِنَّ البِرَّ يَهْدِي إِلَى الجَنَّةِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ صِدِّيقاً . وَإِنَّ الكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الفُجُورِ، وَإِنَّ الفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَكْذِبُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ كَذَّاباً
“নিশ্চয় সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায়। আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পথ নির্দেশনা করে। আর মানুষ সত্য কথা বলতে থাকে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে ‘মহা-সত্যবাদী’ রূপে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদিতা নির্লজ্জতা ও পাপাচারের দিকে নিয়ে যায়। আর পাপাচার জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আর মানুষ মিথ্যা বলতে থাকে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে ‘মহা-মিথ্যাবাদী’ রূপে লিপিবদ্ধ করা হয়।” (বুখারী ৬০৯৪; মুসলিম ২৬০৬)