জুমার দিন যে দরুদে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়
ঝিনাইদহের চোখঃ
জুমার দিনে অন্যতম একটি আমলের নাম দরুদ পাঠ। প্রিয় নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সালামের প্রতি কল্যাণ প্রার্থনা। দরুদ শব্দটি আরবি সলাত শব্দের সমার্থক। সালাত অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা, রহমত বর্ষন করা, দোয়া করা, কল্যাণ কামনা করা।
দরুদ সপ্তাহের যে কোনো দিনেই পড়া যায়। তবে জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠের কথা হাদিস শরিফে এসেছে।
হজরত আবু উমামা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে। -তারগিব : ১৫৭।
হজরত আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এইমাত্র আল্লাহ তায়ালার বাণী নিয়ে হাজির হলেন। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে। -তারগিব : ৩/২৯৯।
অপর হাদিসে বর্ণিত আছে, হজরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমার ওপর দরুদ পাঠ করা পুলসিরাত পার হওয়ার সময় আলো হবে। যে ব্যক্তি জুমার দিন ৮০ বার দরুদ পড়ে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’
অন্য রেওয়াতে নবী করিম সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে ওঠার আগে ৮০ বার এই দরুদ শরিফ পাঠ করে-
‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিইয়্যিল উম্মিইয়ি ও’আলা আলিহি ওআস হাবিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা’
তার ৮০ বছরের পাপ ক্ষমা হয়ে যায় এবং ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়। -আফজালুস সালাওয়াত : ২৬, আত-তারগীব ফি ফাযায়িলিল আ’মাল- ১৪ পৃ:।
উল্লেখ্য, এ হাদিসকে কেউ কেউ দুর্বল বলে অভিমত দিয়ে থাকেন। কারণ বর্ণনায় তারা বলেন, এ হাদিসের সনদে তিনজন বর্ণনাকারী জয়ীফ। তাই আমল করার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন হাদিস বিশারদ আলেমগণ।