দাড়ি বিহীন ব্যক্তি ইমামতি করতে পারবে?
ঝিানাইদহের চোখঃ
ভার্সিটির একজন অধ্যাপকের দাড়ি নাই। মানে দাড়ি রাখেন না, কেটে ফেলেন। এ ভদ্র লোকের একটা অন্যতম গুণ হল তিনি সহীহ, শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন। বন্ধু ও ভার্সিটি মহলে নামাযের জামাতে তাকে ইমামতি করতে এগিয়ে দেয়া হয়। তো, এই দাড়ি বিহীন ব্যক্তির ইমামতি করলে নামায শুদ্ধ হবে? তার ইমামতি জায়েয হবে?
উত্তর: প্রথমত, শরীয়তের দৃষ্টিতে দাড়ি রাখা ওয়াজিব আমল। এক মুষ্টির কমে দাড়ি মুন্ডানো বা কাট-ছাট করা হারাম। এটা একটা দীর্ঘস্থায়ী কবীরা গুনাহ।
দ্বিতীয়ত, যদি কোনো ব্যক্তি দাড়ি কেটে-ছেটে কিংবা মুন্ডিয়ে এক মুষ্টির কম রাখে, তাহলে এমন ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে ফাসিক বলে গণ্য। আর, শরীয়তের বিধান হলো, ফাসিক ব্যক্তির ইমামতি করা মাকরূহে তাহরিমী এবং তার পিছনে নামায পড়াও মাকরূহে তাহরিমী।
অতএব, যদি একটি নামাযের জামাতে সহিহ-শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারে এমন দাড়িওয়ালা ব্যক্তি বিদ্যমান থাকেন, তাহলে উপরে বর্ণিত ব্যক্তির শরীয়তের দৃষ্টিতে ইমামতি করার অধিকার নাই। যদিও তিনি সহিহ-শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন।
হ্যাঁ, ওই নামাযের জামাতে যদি কুরআন সহিহ-শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করার কেউ না থাকে, তাহলে প্রয়োজনোর তাগিদে বর্ণিত ব্যক্তির ইমামতি ও তার পিছনে নামায পড়া জায়েয হবে। তবে, দাড়ি না রাখার কারণে ওই ব্যক্তির গুণাহ হতেই থাকবে।
সূত্র: ফতোয়ায়ে শামী-১/৫৬০, খুলাসাতুল ফাতাওয়া-১/১৪৫, ইমদাদুল মুফতীন-৩২১, আযীযুল ফাতাওয়া-১৪৫, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া-১/২৪৬।