ধর্ম ও জীবন

মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর যীশুর ৭ বাণী

ঝিনাইদহের চোখঃ

যীশুখ্রিস্টের মৃত্যুর পরের ফিরে আসা বাঁ পুনরুত্থানকে খ্রিষ্ট ধর্মাম্বলিরা আনন্দের দিন (স্টার সানডে) হিসেবে পালন করে থাকে। খ্রিষ্ট ধর্ম মতে, প্রভু যিশুখ্রিস্ট সকল পাপী মানুষকে পরিত্রাণ করতে (নাজাত দিতে) নিজের জীবন উৎসর্গ করে মৃত্যুবরণ করেন। তিন দিনের দিন প্রভু যিশুখ্রিস্ট মৃত্যুকে জয় করে জীবিত হয়ে উঠেন। আর তাই তার ফিরে আসার দিনকে পুনরুত্থান বা ইস্টার সানডে বলা হয়।

খুব কষ্টকর বেদনাদায়ক মৃত্যুদণ্ড ছিল ক্রুশে ঝুলিয়ে হত্যা করা। এত কষ্টকর মৃত্যুদণ্ড আর কোনো মৃত্যুতে হয় না। গবেষকরা বলেছেন, ক্রুশে একজন ব্যক্তি ঝুলন্ত অবস্থায় ৩৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেন। কিন্তু প্রভু যিশু ছয় ঘণ্টা ক্রুশের যন্ত্রণা ভোগ করে মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় প্রভু যিশু ক্রুশে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত্যুর যন্ত্রণার মধ্যে সাতটি মহান বাণী বলেন, যা পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ বাণী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

বাণীগুলো হলো :

১. তখন যিশু কহিলেন, পিতঃ, ইহাদিগকে ক্ষমা কর, কেননা ইহারা কী করিতেছে, তাহা জানে না।

২. আমি তোমাকে সত্য বলিতেছি, অদ্যই তুমি পরমদেশে (স্বর্গে) আমার সঙ্গে উপস্থিত হইবে।

৩. হে নারী, ওই দেখ, তোমার পুত্র। পরে তিনি সেই শিষ্যকে কহিলেন, ওই দেখ, তোমার মাতা।

৪. এলোই, এলোই, লামা সাবাক্তানি (ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করিয়াছ)?

৫. ‘আমার পিপাসা পাইয়াছে।’

৬. যিশু কহিলেন, ‘সমাপ্ত হইল।’

৭. আর যিশু উচ্চ রবে চিৎকার করিয়া কহিলেন, পিতঃ তোমার হস্তে আমার আত্মসমর্পণ করি।

প্রভু যিশুখ্রিস্ট মৃত্যুকে জয় করে জীবিত হয়ে উঠবেন, তা তিনি নিজের মুখে অনেকবার বলেছিলেন এবং তাঁর জন্মের আগে নবী বা ভাববাদিগণ ভবিষ্যদ্বাণীতে উল্লেখ করেছেন। এমনকি পবিত্র কোরআন শরিফে সুরা মারিয়ম ১৫ ও ৩৩ আয়াতে প্রভু যিশুখ্রিস্ট বা ঈসা নবীর মৃত্যুবরণ ও মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ওঠার বিষয়ে উল্লেখ আছে।

প্রভু যিশুখ্রিস্ট জীবিত হয়ে ওঠার পরে এই পৃথিবীতে ৪০ দিন ছিলেন এবং শত শত লোককে দেখা দিয়েছিলেন। প্রভু যিশুখ্রিস্ট ৪০ দিনের দিন অনেক মানুষের সামনে আস্তে আস্তে উপরের দিকে স্বর্গে উঠে যান, প্রভু যিশুখ্রিস্ট বলেছেন, আবার এই পৃথিবীতে তিনি আসবেন পাপ-পুণ্যের বিচার করতে এবং তার অনুসারীদের স্বর্গে নিয়ে যেতে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button