সদাচরণ সম্পর্কে ইসলাম যা বলে
ঝিনাইদহের চোখঃ
ভদ্রতা, নম্রতা ও শালীনতা মানব জীবনের মহৎ গুণ। বিনয় মানব চরিত্রের ভূষণ। এসব গুণের কারণে মানুষ সমাজে নন্দিত ও প্রশংসিত হয়। মহান আল্লাহ নিজে নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন, ভালবাসেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সকল ক্ষেত্রে নম্রতা অবলম্বন করা।
মহান আল্লাহতাআলা বলেন, “ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা, ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত।” (সূরা-ফুসসিলাত, আয়াত-৩৪)
অন্যত্র আল্লাহ বলেন, “ক্ষমাশীলতা অবলম্বন কর, সৎ কাজের আদেশ দাও, মূর্খদের এড়িয়ে চল।” (সূরা আরাফ, আয়াত-১৯৯)
আয়েশা রাঃ বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “আল্লাহ কোমল, তিনি কোমলতাকে ভালবাসেন, আর তিনি কোমলতার প্রতি যত অনুগ্রহ করেন, কঠোরতা এবং অন্য কোনো আচরণের প্রতি তত অনুগ্রহ করেন না।” (সহীহ্ মুসলিম, মিশকাত, হাঃ-৫০৬৮)
সহীহ্ মুসলিম এর অপর এক বর্ণনায় আছে একদা রাসূল সাঃ আয়েশা রাঃ কে বলেন, “কোমলতা নিজের জন্য বাধ্যতামূলক করে নাও এবং কঠোরতা ও নির্লজ্জতা হতে নিজেকে বাঁচাও। কারণ যার মধ্যে কোমলতা ও নম্রতা থাকে তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়, আর যার মধ্যে কোমলতা থাকে না সে দোষনীয় হয়ে পড়ে।” (সহীহ্ মুসলিম হাঃ-৭৭-২৫৯৩)
আয়েশা রাঃ বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যাকে নম্রতার কিছু অংশ প্রদান করা হয়েছে তাকে দুনিয়া ও আখিরাতের বিরাট কল্যাণের অংশ দেওয়া হয়েছে। আর যাকে সেই কোমলতা হতে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাকে ইহকাল ও পরকালের বিরাট কল্যাণ হতে বঞ্চিত করা হয়েছে।” (তিরমিযী, মিশকাত, হাঃ-৫০৭৬)
হারেছ ইবনু ওয়াহাব রাঃ বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “কঠোর ও রুক্ষ্ম স্বভাবের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (আবুদাউদ, মিশকাত, হাঃ-৫০৮০)
আবু হুরায়রা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন, “ঈমানদার মানুষ সরল ও ভদ্র হয়, পক্ষান্তরে পাপী মানুষ ধূর্ত ও হীন চরিত্রে হয়।” (তিরমিযী,হাঃ-১৯৬৪)।
আয়েশা রাঃ বলেন, আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি, “ঈমানদার ব্যক্তিরা তাদের উত্তম চরিত্র দ্বারা নফল সিয়ামকারী ও রাতের ইবাদতকারীর মর্যাদা লাভ করবে।” (আবু দাউদ, মিশকাত, হাঃ ৫০৮১)
আমাদের প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ভদ্রতা, নম্রতা ও কোমলতা বজায় রাখা।