রামায়ণ উর্দুতে অনুবাদ করলেন মুসলিম নারী
ঝিনাইদহের চোখঃ
মুঘল সম্রাট আকবরের রাজ দরবারে সেই সময় মুসলিম ও হিন্দু সাহিত্যিকদল একসাথে বসে সাহিত্যচর্চা করতেন আর তার ফলেই ভারতের সাহিত্যচর্চা শীর্ষে পৌঁছায়।
মুসলিমদের জন্য উর্দুতে রামায়ণ অনুবাদ করে ফেললেন মাহি তালাত সিদ্দিকি নামে এক মুসলিম মহিলা গবেষক। নজিরবিহীন ভাতৃত্বের বার্তা দিতে গোটা ধর্মগ্রন্থ অনুবাদ করেছেন তিনি৷
মাহি ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের কানপুরের প্রেমনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি জানান, রামায়ণের সব বিষয়ের সঙ্গে মুসলিমদের অবগত করাই তার অন্যতম লক্ষ্য।
তিনি জানান, দুই বছর আগে বদ্রী নারায়ণ তিওয়ারি নামে কানপুরের এক পরিচিত বন্ধু তাকে রামায়ণ উপহার দিয়েছিলেন। উপহার পাওয়ামাত্র মহাকাব্যটি অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন মাহি। অনুবাদের আগে প্রথম ছয়মাস তিনি ব্যয় করেছেন রামায়ণ পড়ে তার অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে। তারপরই শুরু করেন লিখতে। দেড় বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর অনুবাদে সফল হন তিনি।
মাহি আরও বলেন, অন্য ধর্মগ্রন্থের মতো রামায়ণও খুব সুন্দর। রামায়ণেও লুকিয়ে রয়েছে শান্তি আর ভ্রাতৃত্বের বাণী। এর লেখনীও খুব সুন্দর, অনুবাদ করার সময় আমি মানসিকভাবে শান্তি পেয়েছি।
দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির নিদর্শন তৈরি করতেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, সব ধর্মের মানুষেরই উচিত অন্য ধর্মকে বোঝা। মুসলিমরা যাতে রামচন্দ্র সম্পর্কে জানতে পারেন তা নিশ্চিত করতেই রামায়ণ লেখার এই উদ্যোগ।
মাহি তালাত এই বিষয়ে আরও বলেন, কিছু মানুষ আছেন যারা ধর্মের নামে উসকানি দিয়ে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেন। কোনও ধর্মই একে অপরকে ঘৃণা করতে শেখায় না। প্রত্যেকেরই উচিত প্রত্যেক ধর্মকে সম্মান জানানো।