অন্যান্য

চকলেট কাশির সিরাপের চেয়ে ভালো!

কাশি খুবই বিরক্তিকর এবং অস্বস্তিকর একটি সমস্যা। সাধারণত কাশি হলে তা নিরাময়ের জন্য অনেকেই কাশির সিরাপ সেবন করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, কাশি সারাতে সিরাপের চেয়েও বেশি কার্যকরী চকলেট। গবেষকরা কাশি হলে সিরাপ গ্রহণের চেয়ে এক টুকরা ডেইরি মিল্ক চকলেট বা ডার্ক চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

গবেষক দলের একজন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হালের হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্র বিভাগের প্রধান এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য স্টাডি অব কফের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক আলিয়ান মরিস বলেন, সর্দি-কাশির যেসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়, তার মধ্যে কিছু ওষুধের অন্যতম বিশেষ উপাদান হল কোকোয়া। যে ওষুধে কোকোয়া রয়েছে, সেগুলো খেলে ঠাণ্ডা কাশি থেকে তাড়াতাড়ি রেহাই পাওয়া যায়। আর চকলেট তৈরি হয় কোকোয়া উপাদান দিয়েই।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরাও বলেন, ‘সর্দি-কাশির ওষুধে কোডিনও ব্যবহার করা হয়। যাতে মাথা ধরা, কাশি এবং কফের সমস্যা দূর হয়। কিন্তু তার চেয়ে দ্রুত গতিতে কাজ দেয় কোকোয়া’।

গবেষণার জন্য গবেষকদল ১৬৩ জন অংশগ্রহণকারীর উপর পরীক্ষা চালান। এতে দেখা যায়, যেসব কাশির রোগী চকলেটমিশ্রিত ওষুধ খেয়েছেন, কাশির সিরাপ সেবন করা রোগীদের চেয়ে তাদের অবস্থা দুইদিনে বেশ উন্নত হয়েছে।

অবশ্য এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও গবেষকরা চকলেট খেলে কাশি কমতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

অধ্যাপক আলিয়ান মরিস বলছেন, চকলেটে থাকা আঠালো উপাদান গলার স্নায়ুতন্ত্রের উপর একটি আবরণ তৈরি করে, ফলে কাশি কম অনুভূত হয়। মধু এবং লেবু যেভাবে কাশি উপশমে কাজ করে, চকলেটও একইভাবে কাজ করে বলে জানান তিনি।

গবেষকরা বলছেন, কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রমিন নামের বিশেষ ধরনের অ্যালকালয়েড থাকে, যা কাশির মাধ্যমে বারবার কফ ফেলার শারীরিক প্রয়োজন কমিয়ে দেয়।

অধ্যাপক আলিয়ান মরিস বলেন, কিছু সময়ের জন্য কাশি কমাতে এক টুকরা চকলেট মুখে দিয়ে চুষতে পারেন। তবে হালকা গরম দুধ বা এরকম গরম কিছুর সঙ্গে চকোলেট মিশিয়ে খেলে সেটা গলা বেয়ে দ্রুত নেমে যাবে। এতে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে। সূত্র: মিরর

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button