ধর্ম ও জীবন

দাঁতের পরিচর্যার ব্যাপারে যা বলে ইসলাম

ঝিনাইদহের চোখঃ সাড়ে তিন হাত মানবদেহের ভাঁজে ভাঁজে আল্লাহ যে সকল নিয়ামত দিয়েছেন তার মধ্যে দাঁত একটি অন্যতম নিয়ামত। দাঁত আল্লাহর দেয়া এক মূল্যবান সম্পদের নাম।

আল্লাহর দেয়া এই অমূল্য সম্পদ দাঁত আমাদের জীবনে কতটুকু প্রয়োজন তা কমবেশি আমরা সবাই উপলব্ধি করতে পারি। বিশেষত যারা বৃদ্ধ বয়সে দাঁত খুইয়েছেন অথবা যাদের দাঁতে পোকা ধরে সব সময় যন্ত্রণা দেয় তাদের এ অমূল্য রতন হারিয়ে আফসোসের সীমা থাকে না। তাই তো বাগধারায় বলা হয়ে থাকে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝে।

নিয়মিত দাঁত না মাজলে মুখের অভ্যন্তরে তৈরি হয় ব্যাকটেরিয়া। আর সেই ব্যাকটেরিয়া শরীরের টকাইন রক্তের মাধ্যমে করনারি ধমনীতে গিয়ে ব্লকেজ তৈরি করে। যা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অন্যতম কারণ। এজন্যই কল্যাণময় ধর্ম ইসলামে দাঁত মাজার জন্য যেমন গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তেমনি দাঁতের সুরক্ষায় বিশেষ হিকমাহ রেখেছেন।

এই যেমন গোসল ও অজুর শুরুতে কুলি করা। কুলির দ্বারা দাঁতের মধ্যকার খানা ঢুকে থাকা কণা মুখ হতে বের হয়ে যায়। এতে মুখ পরিষ্কার হয়, যা দাঁতের রোগ থেকে মুক্ত করে, চোয়াল মজবুত হয় এবং দাঁতের মধ্যে উজ্জ্বলতা সৃষ্টি হয়, রুজি বেড়ে যায় এবং মানুষ টনসিলের রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে। (পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে মুহাম্মদ সা. : ১১২) তাছাড়া অজুর সময় তিনবার কুলি করার দ্বারা গোনাহও ঝরে যায়। রাসূল সা.বলেন, ‘যখন কোনো বান্দা অজু করার সময় কুলি করে তখন তার মুখের সব গোনাহ ঝরে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৫/২৬৩)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button