ঝিনাইদহের সাগরের দরকার একটি হুইল চেয়ার

ঝিনাইদহের চোখঃ
শারীরিক প্রতিবন্ধী সাগর হোসেন। জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধি সাগর ২০১৯ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী। সে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পাতবিলা দাখিল মাদ্রাসার সাধারণ বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তার পরীক্ষা শুরু হবে।
সাগর উপজেলার শিমলা-রোকনপুর ইনিয়নের পাতবিলা গ্রামের সামাউল ইসলামের ছেলে। বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। জমাজমি বলতে দুই বিঘা কৃষি জমি ছাড়া কিছু নেই। গত ৫ মাস হলো জমি বন্ধক রেখে ও স্থানীয় কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া গেছে। বেশি আয়ের স্বপ্ন নিয়ে বিদেশ গেলেও মোটা আয়ের নাগাল এখনও পাইনি। সাগররের সুরাইয়া নামের আরও একটি বোন রয়েছে। সে একই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সাগর শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার ছোট বোন সুরাইয়া হুইল চেয়ার ঠেলে প্রতিদিন তাকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসে। তার মাদ্রাসায় যাওয়া আসায় সহপাঠিরাও সহযোগিতা
করে। যে হুইল চেয়ারটিতে সাগর যাওয়া আসা করে সেটি স্থানীয়ভাবে তৈরি।
এছাড়া অনেক দিন ব্যবহারের ফলে চেয়ারটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন পরীক্ষা দিতে হলে নতুন একটি হুইল চেয়ার দরকার। কিন্তু এনজিওর কিস্তি আর সংসারের ব্যয় চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সাগরের পরিবার। এমন অবস্থায় তার পরিবারের জন্য একটি হুইল চেয়ার কেনা অনেকটা কষ্টকর।
পাতবিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. শহীদুজ্জামান জানান, সাগর মোটামুটি ভালো ছাত্র। প্রতিবন্ধী হওয়ায় অপরের সহযোগিতা ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারে না। তার বাবা দরিদ্র হওয়ায় অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছে। এখন একটি নতুন হুইল চেয়ার হলে সাগরের জন্য ভালো হয়।