ফেব্রুয়ারির আগে ব্যস্ততা বেড়েছে ঝিনাইদহের ফুলচাষিদের
ঝিনাইদহরে চোখঃ
সামনেই পয়লা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি। এই দিনগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা থাকে প্রচুর। আর এই উপলক্ষকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের ফুল চাষিরা। জমিতে সেচ, সার প্রয়োগ ও পরিচর্যায় দিন কাটছে তাদের।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর ফুল চাষ হয়েছে ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। যার মধ্যে রয়েছে গোলাপ ৯ হেক্টর, গাঁদা ৩৩০ হেক্টর, রজনীগন্ধা ৩৩ হেক্টর, গ্লাডিওলাস ১১ হেক্টর, জারবেরা ১.৫ হেক্টর ও লিলিয়াম ১ হেক্টর জমিতে।
সারা বছর ফুল উৎপাদন করলেও বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি বাজার ধরাটাই থাকে চাষিদের মূল লক্ষ্য। এ তিনটি দিবসে ফুল বিক্রি করেই মূলত সারা বছরের লাভ লোকসানের হিসেব মেলান চাষিরা।
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ইকড়া গ্রামের ফুল চাষি রফিক উদ্দীন বলেন, ‘২ বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের আবাদ করেছি। ফেব্রুয়ারির বাজার ধরতে এখন জমিতে ওষুধ স্প্রে করছি। ক’দিন পর বাজার ভালো পাওয়ার আশা করছি।
একই গ্রামের কৃষক আদম আলি জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে গোলাপ ফুলের চাষ করেছেন। এখন জমিতে সেচ ও সার দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২ থেকে ৩ টাকা দরে গোলাপ ফুল বিক্রি হচ্ছে। ভালোবাসা দিবসে ফুলের দাম ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রির আশা করছি।
কৃষক আদম আলী ও রফিক উদ্দিনের মতো জেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে কৃষক দিন-রাত পরিশ্রম করছেন ফলন ভালো পাওয়ার আশায়।
ফুলচাষি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফুল খুবই লাভবান চাষ। সামনে ভালো দাম পাব এই আশায় পরিচর্যা করছি। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ফুলের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। বিশেষ করে ঝিনাইদহের ফুলের গুণগত মান ভালো থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে ফেরিঘাটের জ্যামের কারণে অনেক সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জি এম আব্দুর রউফ বলেন, জেলার ফুলচাষিদের ফলন ভালো পেতে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, পরিমিত সারের ব্যবহার, সময়মতো সেচ প্রদানের পরামর্শসহ সকল প্রকার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা হচ্ছে জেলা কৃষি বিভাগ থেকে। দাম ভালো পাওয়ায় এ এলাকার কৃষক দিন দিন ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
দেশ রুপান্তর