ঝিনাইদহ লক্ষীপুর আশ্রয়ন বসবাসের অযোগ্য
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষীপুরের নিকুজ্ঞ আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে বসবাসকারিদের এখন অনেকটাই শুন্য হয়ে পড়েছে। ফলে ইউনিট গুলো দীর্ঘ পড়ে থেকে পোকামাকড়ে কুড়েকুড়ে খাচ্ছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৬নং গান্না ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের লক্ষীপুর গ্রামে প্রধান মন্ত্রীর ত্রানতহবিলের অর্থায়ানে একটি আবাসন তৈরি করা হয়েছে। ৭৬ নং মওজায় খাস জমির উপর ৮০’টি পরিবার বসবাসের জন্য আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। যেখানে ২০০৬ সালে ১৮’বীর যশোর সেনানিবাস ৭’টি এবং ১৩’বেঙ্গল যশোর সেনানিবাস ১’টি ব্যারাক হাউজ নির্মান করেন।
সর্বমোট ৮’টি হাউজে ৮০’টি পরিবারের বসবাসের জন্য উপযুক্ত করে তোলা হয়। নাম দেয়া হয় নিকুজ্ঞ আশ্রয়ণ প্রকল্প। সেখানে ৮০টি পরিবারের মধ্যে শুধুমাত্র ছিন্নমুল নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলি এবং মিজানুর রহমান নামের ৩টি পরিবার কোন রকম ভাবে বসবাস করছে।
নুর মোহাম্মদ জানান, ২০০৮ সালে এখানে এসেছি। তখন আবাসনে লোকে ভরপুর ছিল। কিন্তু এখানে ঠিকমত কাজ না পেয়ে অসহায়দের অনেকেউ চলে গেছে। বর্তমানে আবাসন প্রায় শুন্য হয়ে গেছে।
মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ আলি জানান, এলাকাটা একবারেই পল্লি এখানে সারা বছর কাজ পাওয়া যায়না। তাই কেউ কেউ কাজের জন্যও স্থান ছেড়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পোগুলোর ৯’শ ৩৭টি ইউনিট খালি পড়ে আছে। তবে কত দিন খালি পড়ে আছে সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছেনা। বিভিন্ন সময় খালি হয়েছে আবার থাকার মতো লোক খুজেও পাওয়া যায়নি। এছাড়া বর্তমানে মানুষের অর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় অনেকেই এখানে থাকতে চাইনা। খালি ইউনিটগুলোতে ভুমিহিন ছিন্নমুল পারিবারকে পূর্ণবাসনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।