অন্যান্য

পুরুষের যেসব গুণাবলী নারীদের পছন্দ

ঝিনাইদহের চোখঃ

প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে নারী ও পুরুষ একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে থাকে। পুরুষদের এমন কিছু গুণাবলী রয়েছে যেগুলো তাদেরকে নারীদের কাছে করে তোলে আরো বেশি আকর্ষণীয়। কেউ কেউ মনে করেন মেয়েরা বুঝি লম্বা, সুদর্শন পুরুষ পছন্দ করে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পুরুষের শারীরিক সৌন্দর্যের থেকে নারীকে বেশি আকৃষ্ট করে তাদের ব্যক্তিত্ব, পুরুষসুলভ আচরণ ও গুণাবলী।

তাই পুরুষদের জানা উচিত কোন বিষয়গুলো নারীর কাছে পুরুষকে আকর্ষণীয় করে তোলে-

১. নারীরা দীর্ঘদেহী পুরুষ পছন্দ করেন বটে, তবে উচ্চতাই শেষ কথা নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। আসল বিষয় হলো নারী বুঝতে চায় আপনি নিজের যত্ন নিতে, ফিটফাট থাকতে পারছেন কি না। তারা ভাবেন, যে পুরুষ নিজের দেখভাল করতে পারেন না, তিনি আমার দেখভাল করবেন কী করে? সুতরাং, আলুথালু পোশাক, এলোমেলো চুল, নখ না কাটা বা ময়লা থাকা, মোজায় গন্ধ, ময়লা শার্ট বা জিনসের উদাসীনতার দিন শেষ। হালের নারীরা এসব একেবারেই পছন্দ করেন না। নারীর মন পেতে হলে এসব খামখেয়ালিপনা আজই ছাড়ুন।

২. নিজের রুচি তুলে ধরুন। দামি ব্র্যান্ডের জামা-জুতো হতে হবে বিষয়টা মোটেও এমন নয়। সাধারণ দোকান থেকে কেনা হলেও পোশাকে-আশাকে নিজের রুচি পছন্দটা তুলে ধরুন। আর খেয়াল রাখুন তা যেন আপনার শারীরিক গড়ন আর গায়ের রঙের সঙ্গে মানানসই হয়। নিজের একটা স্টাইল গড়ে তুলুন। আপনাকে বুঝতে হবে, আপনি যেমন নারীদের ‘সন্ন্যাসিনী’ সেজে থাকা পছন্দ করেন না, ঠিক তেমনি আধুনিক নারীরাও ‘অফিস টাইপ’ পোশাকের পুরুষদের পছন্দ করেন না।

৩. মুখে হাসি ফোটান। রসবোধ থাকাটা যে কারও জন্যই উঁচুমানের গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কাঙ্ক্ষিত পুরুষের চরিত্রে নারীরা এটা খোঁজেন। প্রাত্যহিক জীবনে এমনিতেই বহু ঝুট-ঝামেলা নিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে থাকার মতো যথেষ্টই কারণ থাকে নারীদের। তাই নিজে হাসুন, তার মুখেও হাসি ফোটান। তবে খেয়াল রাখতে হবে ঠাট্টা-তামাশা করতে গিয়ে সব সময়ই অন্য কাউকে খাটো করা, আঘাত করা মোটেই কাজের কথা না। অনেক নারীই এটা রীতিমতো অপছন্দ করেন।

৪. ভুল স্বীকার করুন। পুরুষ হাসিমুখে নিজের ভুল স্বীকার করতে পারেন, নিজেকে নিজেই মশকরা করতে পারেন, তার প্রতি নারীদের আকর্ষণ তীব্র হয়ে ওঠে।

৫. নারীকে বুঝতে দিন যে আপনি যত্নবান। নারীরা সব সময়ই এটা নিশ্চিত হতে চান যে, তাকে কেউ ভালোবাসছে, তার খেয়াল রাখছে। তার হাত ধরে হাঁটা, সুযোগ পেলে একসঙ্গে সূর্যাস্ত দেখা- হোক তা বারান্দায় দুই মিনিটের জন্য, মাঝেমধ্যেই জড়িয়ে ধরা, রাস্তা পেরোনোর সময় তার খেয়াল রাখার মতো কাজগুলোকে মোটেই অবহেলা করবেন না। আপনার এসব ছোট ছোট অভ্যাস থেকে অনেক কিছুই বোঝা যায়। কখনো কখনো রাস্তায়, বেড়াতে গিয়ে সবার সামনে তাঁর হাত ধরে হাঁটা মানে আপনি তাঁকে নিয়ে গর্বিত। তবে এ চর্চা যেন হয় জড়তাহীন, সাবলীল আর আতিশয্য বর্জিত।

৬. চোখের ভাষায় কথা বলুন। যখনই তার চোখে চোখ রেখে তাকাবেন মিষ্টি করে একবার হাসুন। ভালোবাসার চোখে সরাসরি তার চোখে তাকালে একজন নারী যে অনুভূতি পান তার তুলনা করা দুষ্কর। আপনার ওই চাহনিতে নিজেকে লাখে একজন মনে হতে পারে তার।

৭. অনেক পুরুষের বৈশিষ্ট্য তারা খুব অল্পতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। নারীরা আজকাল রাগী, আক্রমণাত্মক সঙ্গী পছন্দ করে না। রাগ করার মতো সুনির্দিষ্ট কারণ থাকলে নারী সঙ্গীকে শান্তভাবে তা বুঝিয়ে বলতে হবে।

৮. নারীকে সম্মান করতে হবে। অনেক পুরুষের মধ্যে নারীকে হেয় করে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়। এধরনের মানুষকে নারীরা পছন্দ করে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button