রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম : পিউ রিসার্স
ঝিনাইদহের চোখঃ
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ বলছে- দেশগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম। পিউ রিসার্স সেন্টারের ধর্মীয় রূপরেখা বিষয়ক এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিশ্বের ১৯৯টি দেশের মধ্যে ২০১৫ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় উঠে আসে, ‘শিয়া ও সুন্নি মিলিয়ে মোট ২৭টি দেশে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ১৩টি দেশে খ্রিস্টধর্মকে, ২টি দেশে বৌদ্ধধর্ম এবং একমাত্র ইসরাইলে ইহুদি ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত ও নেপালে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে হিন্দু ধর্মকে গ্রহন করা হয়েছে।’
পিউ রিসার্চের গবেষণাটি মূলত দেশগুলোর সংবিধান এবং মৌলিক আইনসমূহ, অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে করা হয়।
বিশ্বে ২০৫০ সাল নাগাদ মুসলিম জনসংখ্যা হবে খ্রিস্টানদের প্রায় সমান। ইসলাম হবে এ দুনিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্মবিশ্বাস। বর্তমান তথ্যের ভিত্তিতে করা এক হিসাবে এমনটিই দেখা গেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, ৪৩টি দেশে (২২ শতাংশ) একটি রাষ্ট্রীয় ধর্ম রয়েছে। ৪০টি দেশে (২০ শতাংশ) একটি বিশেষ বা পছন্দসই ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে এবং ১০টি দেশ (৫ শতাংশ) সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০৬টি দেশে (৫৩ শতাংশ) কোনো রাষ্ট্রীয় বা পছন্দের ধর্ম নেই। আজারবাইজান, চীন, কিউবা, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উত্তর কোরিয়া, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ভিয়েতনাম-এই দশটি দেশে কোনো রাষ্ট্রীয় বা পছন্দসই ধর্ম নেই।
রাশিয়ায় খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম, ইহুদিবাদ ও বৌদ্ধ ধর্ম তাদের ‘চিরাচরিত’ ধর্ম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু রাশিয়ার ইতিহাসে অর্থোডক্স খ্রিস্টধর্মের ‘বিশেষ অবদান’ স্বীকার করা হয়। অন্যদিকে, কমোরোস, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া এবং সৌদি আরবে ইসলাম ধর্ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জরিপে দেখা যায়, ২৭ টি দেশ নিয়ে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ইসলামের অবস্থান সবার প্রথমে।