ঝিনাইদহে মা ফিরে পেল সন্তানকে
ঝিনাইদহের চোখঃ
স্বামীর অকথ্য নির্যাতনে কোলের শিশু ফেলে হাসপাতালে ভর্তি হন গৃহবধু শিরিন আক্তার। সুযোগ বুঝে পাষন্ড স্বামী আটকে রাখে ৫ বছরের শিশু রিজওয়ান ও ৫ মাসের কন্যা শিশু ফাতেমাকে।
এদিকে মায়ের স্নেহ মমতা না পেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে শিরিন আক্তারের দুই শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামে। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার ঝিনাইদহ শাখার কর্মকর্তারা এ খবর জানতে পেরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে যান এবং নির্যাতিত গৃহবধুর বক্তব্য রেকর্ড করেন। নির্যাতনের শিকার গৃহবধু মোছাঃ শিরিন আক্তার অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী মোঃ রবিউল ইসলাম প্রায়ই মারধর করতো।
পারিবারিক কলহের কারনে ২৩ জানুয়ারী যৌতুকের দাবীতে বেদম প্রহার করে তাকে। আরো মারধরের ভয়ে তার কোলের দুই সন্তানকে ফেলে পালিয়ে ভর্তি হন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। স্বামী রবিউল শিরিন আক্তারের কোন খোজ নেয়না।
বরং দুধের শিশু ফাতেমাকে পর্যন্ত আটকিয়ে রাখে। রোববার শিশু দুইটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকুর নেতৃত্বে সংস্থার কয়েকজন কর্মী হরিনাকুন্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামে যান এবং রবিউলের বাড়ী থেকে শিশু দুইটি উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মায়ের কাছে পৌছে দেন ।
এ সময় সংস্থার কর্মী জাহিদুল ইসলাম, সাইদুর রহমান বাদশা, মেহেরুন্নেসা মিনু, জান্নাতুল ফেরদৌস লাকি ও শাহিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।