অন্যান্য

চুলের জন্য শ্রেষ্ঠ তেল

ঝিনাইদহের চোখঃ

একমাথা ঝলমলে উজ্জ্বল চুল পাওয়ার অন্যতম পথ হল ভালো তেল দিয়ে চুল আর মাথায় ম্যাসেজ করা। চুলে আর স্ক্যাল্পে নিয়মিত তেল দিয়ে ম্যাসেজ করার বেশ কিছু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপকারিতা রয়েছে। উন্নত রক্ত সংবহন, ডিপ কন্ডিশনিং, শরীর-মনের শিথিলতা, চাপমুক্তির মতো আরও বহু উপকারিতা এর অন্তর্গত। চুলে ম্যাসেজ করার জন্য বেছে নিন আপনার পছন্দ মতো তেল।

১. নারকেল তেল: নারকেল তেল স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধী এবং স্ক্যাল্প স্নিগ্ধ রাখতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভার্জিন কোকোনাট অয়েল থেকে কোনওরকম প্রদাহ হয় না। ফলে চুল ওঠার সমস্যা থাকলে এই তেলই সবচেয়ে ভালো। নারকেল তেল ময়শ্চারাইজার হিসেবও খুব ভালো এবং চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে৷

২. আমন্ড অয়েল: এই তেলটি হালকা ও একেবারেই চটচটে নয়৷ ভিটামিন ই-র গুণে ভরপুর এই তেলটি চুলে পুষ্টি জোগায়, চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং চুল মজবুত ও ঝলমলে করে তোলে৷ আমন্ড অয়েল স্ক্যাল্পেও পুষ্টি জোগায় এবং খুসকি কমাতে সাহায্য করে৷

৩. অলিভ অয়েল: ত্বকে লাগানো এবং নন-হিটেড কনজাম্পশনের জন্য অলিভ অয়েল খুবই ভালো৷ এই তেলটিতে পর্যাপ্ত এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা স্ক্যাল্পকে পুনরুজ্জীবিত করে, চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়, এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে৷ এই হেয়ার অয়েলটিতে পর্যাপ্ত ময়শ্চারাইজার রয়েছে এবং এটি ভিটামিন ই-তে ভরপুর যা চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়৷ এই তেলে ওলেইক অ্যাসিড রয়েছে যা খুব সহজেই চুলের গভীরে প্রবেশ করে আর্দ্রতা ধরে রাখে৷

৪. ক্যাস্টর অয়েল: ক্যাস্টর অয়েল চুলের জন্য দারুণ কাজ করে এবং কসমেটিক অয়েল হিসেবেও এটি খুবই জনপ্রিয়৷ যারা অত্যধিক চুল ওঠার শিকার, তাদের শরীরে সাধারণত প্রস্টাগ্ল্যান্ডিন বা পিজিডি২ হরমোনের আধিক্য থাকে৷ গবেষণা বলছে, ক্যাস্টর অয়েলে উপস্থিত একটি উপাদান দিয়ে এই হরমোনটিকে দমন করা যায়, ফলে চুল ওঠা বন্ধ হয়ে চুলের বৃদ্ধি ভালো হতে শুরু করে৷

৫. তিল তেল: বহু আয়ুর্বেদিক ওষুধে বেস অয়েল হিসেবে তিল তেল ব্যবহার করা হয়৷ তিল তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং স্ক্যাল্পের সংক্রমণ কমায়৷ চুল কন্ডিশনিং করতে, স্ক্যাল্পে পুষ্টির জোগান দিতে এবং খুসকি কমানোর জন্য হট অয়েল ট্রিটমেন্টে হামেশাই ব্যবহার করা হয় তিল তেল।

৬. আর্গান অয়েল: আর্গান গাছের শাঁস থেকে পাওয়া যায় আর্গান অয়েল। এই তেলটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, টোকোফেরল এবং পলিফেনলে ভরপুর, ফলে পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে চুলকে বাঁচাতে পারে। এই তেলটি প্রদাহ কমায় এবং দ্রুত নতুন ত্বকের জন্ম দিতে সাহায্য করে।

৭. জোজোবা অয়েল: নানাধরনের বিউটি ট্রিটমেন্ট আর কসমেটিকসে জোজোবা অয়েল ব্যবহার করা হয়। মাথার ত্বকে ও চুলের ফলিকলের গোড়ায় জমে থাকা তেলময়লা জমে গেলে তা চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। জোজোবা অয়েল সেই জমে যাওয়া ময়লা পরিষ্কার করতে সক্ষম। চুলে আর্দ্রতা জোগান দিতে এবং বাইরের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে চুল রক্ষা করতেও এই তেল খুবই কার্যকর। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হল, জোজোবা তেলটি হাইপোঅ্যালার্জেনিক ও কোনওভাবেই আপনার চুল বা স্ক্যাল্পের কোনও ক্ষতি করে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button