যেসব অভ্যাসে বন্ধ্যাত্ব হয়ে থাকে

ঝিনাইদহের চোখ ডেস্ক: আজকাল বিরাট কোনও শারীরিক অক্ষমতা না থাকলেও বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেককেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন প্রায়ই।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্ধ্যাত্ব বেড়ে যাওয়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে মূলত জীবনযাপনের পদ্ধতি অন্যতম। কারও কারও ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার কিছুটা বদল আনলেই বন্ধ্যাত্বের সমস্যা অনেকটা সমাধান করা সম্ভব। আর এই বদল আনা উচিত সন্তানধারণের অনেক আগে থেকেই।
নিজেদের বেশ কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনলেই বন্ধ্যাত্বের সমস্যাকে অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যায়। জেনে নিন তেমনই কিছু অভ্যাসের কথা যা বাবা-মা হয়ে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে-
১. ধূমপান: তামাক শরীরের অন্যান্য ক্ষতি যেমন করে, তেমন মহিলা ও পুরুষের যৌন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা কমায় ও স্পার্ম কাউন্টও কমিয়ে দেয়। পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই তাই ধূমপান বর্জনীয়।
২. অ্যালকোহল: টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমানোর নেপথ্যে অন্যতম দায়ী অ্যালকোহল। তাই মদ্যপানের আসক্তি কমান।
৩. মানসিক অবসাদ: মানসিক অবসাদ স্পার্ম কাউন্ট যেমন কমায়, তেমনই যৌন জীবনকে অসুখী করে তোলে। হতাশা বা মানসিক চাপ আসে এমন বিষয় এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজন পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যত দ্রুত হতাশা কাটাতে পারবেন ততই সমস্যা মিটবে।
৪. ওজন: ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। যে কোনও উপায়েই ডায়েট মেনে চলা, হাঁটাহাঁটি, কিছু হালকা শারীরিক কসরতকে রাখতেই হবে দৈনন্দিন কর্মপরিকল্পনায়। পুরুষের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন স্পার্মের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। বিভিন্ন যৌন সমস্যাকেও ডেকে আনে।
৫. টিউমার: শরীরে যদি টিউমার হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। টিউমারের কারণেও স্পার্ম কাউন্ট কমে।
৬. এক জায়গায় বসে কাজ: আজকাল বেশির ভাগ অফিসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয়। ওঠা-হাঁটা কম হওয়ার কারণেও বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দেয় অনেক সময়। কাজের ফাঁকে পেশি ও স্নায়ুকে সক্রিয় রাখতে মাঝে মাঝেই ডেস্ক ছেড়ে উঠে হাঁটুন।
৭. সময়: আজকাল ছেলে-মেয়ে উভয়েই দেরিতে বিয়ে করেন, ফলে পরিবার পরিকল্পনা করতেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়। দু’জনের বয়স ৩৫-এর বেশি হয়ে গেলে বন্ধ্যাত্বের রিস্ক ফ্যাক্টর বাড়ে। তাই বিয়ে বা পরিবার পরিকল্পা দু’টোর ক্ষেত্রেই গড়িমসি করে সময় নষ্ট করবেন না।