ঝিনাইদহে কলা বোঝাই পিকআপ থেকে মাদকের বড় চালান উদ্ধার

ঝিনাইদহের চোখঃ
বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণ সমাজ ধ্বংসের সবচেয়ে আলোচিত এবং অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মাদকদ্রব্যকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতদ্সংক্রান্তে এক শ্রেণীর অসাধু মাদক ব্যবসায়ী নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুব সমাজের হাতে মাদকদ্রব্য বা নেশাজাতীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে এই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ মাদক বিরোধী অভিযানে র্যাব সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্প গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ০১টি কলা বোঝাই পিকআপ ভ্যানের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল নিয়ে কালীগঞ্জ-ঝিনাইদহ মহাসড়ক হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখ ১৫.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন কালীগঞ্জ-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ছোট কামারকুন্ডু নামক স্থানে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে ট্রাক, পিকআপসহ অন্যানী গাড়ি তল্লাশী করতে থাকে। এ সময় একটি কলাই বোঝাই পিকআপ ভ্যান (রেজি নং- ঢাকা মেট্ট্রো-ন-১১-৪৭৩০) এর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা উক্ত পিকআপটিকে থামানোর জন্য সংকেত দিলে গাড়িটি না থামিয়ে র্যাব এর চেকপোস্ট অতিক্রম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা পিকআপটির পিছু নিয়ে আটক করে এবং তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করে। পিকআপটি তল্লাশির এক পর্যায়ে পিছনে সুকৌশলে কলার ছড়ির ভিতরে লুকানো অবস্থায় ০৩ টি বস্তা ভর্তি ৫৬১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা সম্ভবপর হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৪,৪৮,৮০০/- (চার লক্ষ আটচল্লিশ হাজার আটশত) টাকা। উক্ত পিকআপের ড্রাইভার মোঃ আলমিন বাবু (৩১), পিতা-মৃত লাভলু মিয়া, সাং-রূপারচর, থানা-নবাবগঞ্জ, জেলা-ঢাকা এবং তার সহকারী মোঃ হাসান মিয়া (২৮), পিতা-মৃত আব্দুল বারেক, সাং-কুশনা মাঝের পাড়া, থানা-কোর্টচাঁদপুর, জেলা-ঝিনাইদহকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।