ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহে ৪ নারী ডাক্তার বছরের পর বছর অনুপস্থিত

ঝিনাইদহের চোখঃ

চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই অনুপস্থিত ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগের চারজন নারী ডাক্তার। তারা হলেন ডা. মোসা. শানজিনা ইয়াসমিন শম্পা, ডা. শাহানারা সুলতানা, ডা. মনিরা শারমীন ও ডা. সাদিয়া আফরিন। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের দফতর সূত্রে জানা গেছে, ডা. মোসা. শানজিনা ইয়াসমিন শম্পা ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট মেডিকেল অফিসার হিসেবে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর (নিয়ামতপুর) উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন। পরের দিন থেকেই আজ পর্যন্ত তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। ২০০৯ সালের ২ মে থেকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. শাহানারা সুলতানা কর্মস্থলে আসেননি।

তিনি সহকারী সার্জন পদে যোগ দেন ২০০৮ সালের ১৭ নভেম্বর। ২০১২ সালের ৩ জুন সহকারী সার্জন পদে জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন ডা. মনিরা শারমীন। একই বছরের ৩ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ছাড়েন তিনি। তিনি আজও ফিরে আসেনি।

২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে এক মাসের মেডিকেল ছুটি নিয়ে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কর্মস্থলে যোগদান করেননি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. সাদিয়া আফরিন।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, নিখোঁজ ডাক্তারদের স্থায়ী ঠিকানায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দফায় দফায় চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠির কোনো উত্তর পাননি সিভিল সার্জনের দফতর। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি পৃথক পৃথক স্মারকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসনকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অজ্ঞাত কারণে তাদের পদগুলো শূন্য ঘোষণা করা হচ্ছে না। পদ শূন্য না হওয়ায় নতুন কেউ যোগদান করতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক (সিভিল সার্জন) ডা. রাশিদা সুলতানা জানিয়েছেন, চার নারী ডাক্তারের সন্ধান তার জানা নেই। তাদের বিষয়ে অধিদফতরকে দফায় দফায় চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়লকে জানানো হয়েছে। উপ-পরিচালক বলেন, তাদের চাকরি থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিষয়টি জটিল বিধায় দেরি হচ্ছে। শুনেছি, তারা বিদেশ চলে গেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাকরিতে যোগদান করে চার নারী ডাক্তার সুকৌশলে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন। বিধি মোতাবেক সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে একজন কর্মকর্তা বিদেশ পাড়ি দিতে পারেন না। আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশে বসবাস করছেন তারা। কেউ কেউ দেশে এসে ছুটি কাটিয়ে আবার চলেও গেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button