ধর্ম ও জীবন

দোয়া করার উদ্দেশ্য কি ও কেন?

ঝিনাইদহের চোখঃ

দোয়া শব্দের অর্থ আল্লাহকে ডাকা, কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা অর্থাৎ বিনয়ের সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করাই হল দোয়া। কুরআন হাদিসে দোয়াকে-ই ইবাদাত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-

>> আল্লাহ বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হবে। (সুরা মু’মিন : আয়াত ৬০)

এ আয়াতে মানুষকে পরকালের সৌভাগ্য অর্জনে ইবাদাতের প্রতি মনোযোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ দোয়ার শরয়ী এবং প্রকৃত অর্থ হলো ‘চাওয়া’। আর প্রয়োজনপূরণে আল্লাহর নিকট চাওয়াই ইবাদাত।

>> হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দোয়া-ই ইবাদত। (তিরমিজি)

তাইতো আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়া এবং তার নৈকট্য লাভ করা ব্যতিত দুনিয়ার উন্নতি ও পরকালের মুক্তি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিধায় আমাদেরকে দোয়া করার মাধ্যমে তাঁর সঠিক ইবাদাত করতে হবে।

এই দোয়াকে আল্লাহ তাআলা ইবাদত হিসেবে অভিহীত করেছেন এবং সাহায্য লাভের মাধ্যম বানিয়েছেন। কারণ দোয়া বা ইবাদাত ছাড়া মানুষের মুক্তির কোনো উপায় নেই।

পরিশেষে…
যেহেতু কুরআন-হাদিসে দোয়ার বিষয়ে বিশেষ তাগিদ দেয়া হয়েছে। সেহেতু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নামাজ-রোজা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, বিপদ-মুসিবতসহ দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ এবং পরকালের সফলতা লাভে আল্লাহর নিকট দোয়া করা উচিত।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইহ ও পরকালীন সকল বিষয়ে আল্লাহ নিকট সাহায্য চাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button