ঝিনাইদহে মুকুলে মুকুলে সুরভিত

ঝিনাইদহের চোখঃ
মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে ঝিনাইদহের আমবাগানগুলো। গতবারের চেয়ে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা। তাই গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আর মুকুল ধরে রাখতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।
জেলা কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এ বছর প্রায় ৯০ শতাংশ আমবাগানে মুকুল ধরেছে। এখানে রয়েছে আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, ক্ষিরসা, হাড়িভাঙ্গা, হিমসাগরসহ নানা জাতের আম।
চলতি মৌসুমে কুয়াশা আর বৃষ্টিপাতের আধিক্য না থাকায় মুকুলের এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষতি হয়নি। তাই ভালো ফল পেতে এখন বাগান পরিচর্যার কাজে পুরোদমে ব্যস্ত মালিকরা। পোকা-মাকড়ের হাত থেকে মুকুল ধরে রাখতে ছিটানো হচ্ছে পানি ও প্রতিষেধক স্প্রে। ভালো ফলনের আশায় এই বাড়তি খরচ করছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
সদর উপজেলার নেবুতলা গ্রামের আম চাষি নজরুল বলেন, ‘মুকুল আসার পর পোকার আক্রমণ ঠেকাতে ওষুধ ও পানি স্প্রে করেছি। আমের কিছুটা গুটি ধরলে প্রয়োজন মতো গাছের গোড়ায় পানি দেব। এছাড়াও নিয়মিত পরিচর্যা করতে হচ্ছে।’
একই গ্রামের আশরাফুল আলম ঠান্ডু বলেন, ‘প্রতিবছর আম চাষ করে এ এলাকার চাষিরা। গত বছরের মতো এ বছরও আমের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি। এ এলাকা থেকে আম যদি বিদেশে রপ্তানি করার ব্যবস্থা করা যেত তাহলে আম চাষিরা একটু বেশিই লাভের মুখ দেখত।’ এদিকে আমের মুকুল থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন ওষুধ স্প্রে করতে হয়। ওষুধের দাম কমানোর দাবি তার।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোফাকখারুল ইসলাম জানান, আম লাভজনক ফসল। এবার আম বাগানে যে পরিমাণে মুকুল এসেছে, যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে না পড়ে তাহলে আমের বাম্পার ফলন পাবেন চাষিরা।
তিনি আরও জানান, আম গাছের শুকনো ডালপালা ফেলে দিয়ে সেখানে ছত্রাক ও কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে মুকুল পুরোপুরি ধরে রাখা সম্ভব। এছাড়াও আমের মুকুল ধরে রাখতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বার্তা২৪