ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহের ৩৬ লাখ টাকার ব্রীজটি কোনই উপকারে আসেনি

মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুরে খালের উপর ব্রীজ নির্মান করা হলেও রাস্তা না থাকায় ব্রীজটি জনসাধারনের কোন উপকারে আসেনি। প্রায় দুই যুগ আগে নির্মান ব্রীজটি উপকারে আসার আগেই নষ্ট হতে বসেছে। ব্রীজটি সংযোগ রাস্তা না দুই গ্রামের কয়েক হাজার লোকজনের দূর্ভোগে পড়তে হয়।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বাজার গোপালপুর পশ্চিম পাড়ার নিকট খালের উপর শ্রীপুর ও ওয়াড়িয়া এবং চোরকোল গ্রামের একাংশ লোকজনের সুবিধার্তে ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে ত্রান ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রীজটি নির্মান করা হয়। কিন্তু ব্রীজটির পশ্চিম পাশে সড়কের কোন সংযোগ না থাকায় কোন উপকারে আসেনি। আর যে মালিকেরা রাস্তার জন্য জায়গা দিবেন বলে জানান, তাদের সাথে মেনামালিন্য হলেই রাস্তায় আড়াআড়ি বাঁশের বেড়া দিয়ে দেন।

এ বিষয়ে বাজার গোপালপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা বলেন, ব্রীজটি নির্মান করার পর আমি সহ কয়েকজন রাস্তার জন্য উদ্যোগ নিয়ে ছিলাম। রাস্তাটি চিত্রা নদীর পাড় ঘেষে তৈরি করার সিন্ধান করা হয়। কিন্তু রাস্তার শুরুতে এবং শেষের দিকে ব্যাক্তি মালিকানার জমি রয়েছে। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আমার সহ কয়েক জনের নামে জোরপূর্বক জমি দখল করে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে মর্মে সদর থানর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। সে সময় দেখা গেল, আমি একা ছাড়া পাশে আর কেউ নেই। কিন্তু রাস্তাটি হলে সবারই উপকারে আসেতো। তিনি আরো বলেন, সে সময় মিমাংসা করতে ঝিনাইদহে একাধিকবার লোকজন নিয়ে যাতাযাত, খাওয়া দাওয়া বিভিন্ন ভাবে প্রায় ২০’হাজার টাকা খরচে হয়েছিল। এরপর আর কোন জোরালো ভাবে যোগযোগ হয়নি। তবে বর্তমানে পাড়র যে জায়গা নিয়ে সমস্যা ছিল তা মিমাংসা হয়েছে। লোকজন হেটে, বাইসা কেল, মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করতে পারেন।

ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর বলেন, এই ওয়াডের লোকজনদের বাজার গোপালপুরে যেতে হলে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। একটি ব্রীজের কারনে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিলনা।এরপর ব্রীজ নির্মান হল, লোকজন চিত্রানদীর পাড় দিয়ে হেটে, দুই চাকার যানদিয়ে চলাচল করতে পারে। কিন্তু কোন প্রকার যানবহন চলাচল করতে পারেনা। সড়কটি হলে সবারই উপকারে আসেতো। ব্রীজটি উপযুক্ত ভাবে ব্যবহার হত।

ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর বলেন, রাস্তাটি করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ব্যাক্তি মালিকানা জমির মালিকদের সাথে সিন্ধান্ত হয়েছে। দ্রুতই হয়তো রাস্তাটি করা সম্ভব হবে।##

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button