পাঠকের কথা

মায়ের চোখে জ্বালা— গুলজার হোসেন গরিব

ঝিনাইদহের চোখঃ

মায়ের চোখে জ্বালা— গুলজার হোসেন গরিব

মা আজ কদিন,বুকে ব্যথা,থেকে থেকে কেঁপে ওঠে
হৃদয়খানা খান খান হয়,হীন দারিদ্রতার চোঁটে।
মুখটি যখন দেখি মা তোর,হয়েছে মলিন জ্বালায়!
কাদিস যখন অশ্রু ছেড়ে একটু দেখার আশায়,
তখন যে আর সইতে পারিনা,বুকের বেদনা বুকে,
তপ্ত লোহা কলিজায় লাগে!চিরে দেখাবো কা কে?
কতো কষ্টে কষ্টে বড় করেছিস কতোই আপন ভেবে
একদিন মহাসুখ এনে মা’র হাতে তুলে বুঝি দেবে।
আশায় আশায় আশাগুলো সব জমাট পাথর শোক
সুখের দুনিয়া দেখবি বলে,আলো হারিয়েছে চোখ?
সাগরের ঢেউ খেলা করে মা আমার চোখের জলে
মা ভালো নেই,তাই ভালো নেই,বুঝাবো কোন ছলে।
আটাশির কালে আটকা পড়ে ক্ষুধা ঘায়ে কেঁদেছি
বুকে ধরে তোর শ্বাস দিয়ে মা বাঁচিয়েছিলি দেখেছি।
যখনি ভাবি ডাকলে তোকে হাতরিয়ে খুঁজবি সুর
তখনি ব্যথায় বুকটা আমার ভেঙে ভেঙে হয় চূর।
আমার মায়ের চোখের জ্যোতি নিওনা প্রভু কেড়ে
এ আঘাত নিয়ে যেতে হবে তবে এই পৃথিবী ছেড়ে।
মা যদি না দেখতে পারে সন্তানেরই মুখ,
চাইনা মালিক তোমার ভুবনে মা ছাড়া কোনো সুখ।
দিনে দিনে দেনা বেড়েছে শুধু আমার মায়ের কাছে
শোধ হবে সেই দেনার বোঝা এমন কিছু কী আছে?
মায়ের সম্মুখে দেখাতে পারিনা বুকের জখম ব্যথা
কত আঘাতে বিবেক আমার ভেজায় চোখের পাতা।
যদি না পারি মা গো তোর বাঁচাতে চোখের জ্যোতি
কী লাভ হবে জগৎ জুড়ে ছড়ালে আমার খ্যাতি।
তুমি যদি না দেখতে পারো আমার আলোর রেখা
তোমার সাথেই হারায় যেনো আমার ভুবন দেখা।
মা গো কাউকে না পাই পাশে,ভাই হবে সে আমার
মিটাবে তোমার চোখের জ্বালা দেখার হাহাকার।
দারিদ্রতা আমাদের জীবন জুড়ে
আজো আছে ঘিরে সেই থেকে এই মানবতার পুরে,
আজো মা গো সেই তুমি আমি কাঁদি আগের মতন
কেঁদে কেঁদে বুঝি ছেড়ে যাবো এই মানবিক ভুবন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button