আজ মরমী কবি পাগলা কানাইয়ের ২০৯তম জন্মবার্ষিকী

ঝিনাইদহের চোখঃ
‘জিন্দা দেহে মুরদা বসন, থাকতে কেন পরনা, মন তুমি মরার ভাব জান না, মরার আগে না মরিলে পরে কিছুই হবে না/ আমি মরে দেখেছি, মরার বসন পরেছি, কয়েক দিন বেঁচে আছি, তোরা দেখবি যদি আয় পাগলা কানাই বলতেছি।’ এমন শত শত গানের স্রষ্টা মরমী কবি পাগলা কানাইয়ের ২০৯তম জন্ম জয়ন্তী আজ । এ উপলক্ষে কবির মাজার প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।
পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ জানান, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রথম দিনে কবির মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও লোকসংগীত অনুষ্ঠান।
দ্বিতীয় দিনে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকসংগীত ও নাটক। শেষ দিন রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পালাগানের প্রতিযোগিতা। পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
জানা যায়, লোকসাধনা ও মরমী সংগীতের এ কবি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামে বাংলা ১২১৬ সালের ২৫ ফাল্গুন জন্ম গ্রহণ করেন এবং বাংলা ১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ় মৃত্যুবরণ করেন।
বাল্যকালে পিতৃহারা পাগলা কানাই অর্থের অভাবে পড়ালেখা করতে পারেনি। তিনি রাখালের কাজ করতেন। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গান রচনা করে নিজ কণ্ঠে পরিবেশন করতেন। তার সংগীতে যেমন ইসলাম ধর্মের তত্ত্বকে প্রচার করেছেন তেমনি হিন্দু-পুরান রামায়ণ ও মহাভারত থেকেও নানা উপমার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। এ কারণেই তার গান সর্বজনীনতা লাভ করে। তার মধ্যে বাউল ও কবিয়াল এ দুয়ের যথার্থ মিলন ঘটেছে।