ঝিনাইদহেও ঢাকার মতো ১টি কেমিক্যাল কারখানা আছে
ঝিনাইদহের চোখঃ
বাংলাদেশ কেমিক্যাল এন্ড পারফিউমারি মার্চেন্ট এসোসিয়েশন সভাপতি হাজী আব্দুল জলিল পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, আমাদের কেমিক্যাল এসোসিয়েশনের মধ্যে মোট ৭৮০টি কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ২৩টি, যশোরে ২টা, পাবনাতে ২টা, বগুড়ায় ২টা ও ঝিনাইদহে ১টা কেমিক্যালের গোডাউন আছে। আর বাকি সব প্রতিষ্ঠান পুরান ঢাকায় ও নারায়ণগঞ্জে।
তিনি বলেন, এই ৭৮০টি প্রতিষ্ঠানের বাইরেও প্রায় ২ হাজার কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেগুলো আসলে আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা সরকারি নির্দেশনা আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করি। কিন্তু বাকিদের উপরে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
আব্দুল জলিল বলেন, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ২৯টির বাইরেও আরও ক্ষতিকর কেমিক্যাল আছে। যেমন চকবাজারে বডি স্প্রের যে রাসায়ানিক ক্যামিকেল থেকে আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটা কিন্তু নিষিদ্ধ না। আর এগুলো সরাসরি সরকার অনুমোদন দেয়, তাই এসবের ক্ষেত্রে সরকারেরই জোরালো পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
ক্ষতিকর ২৯ কেমিক্যাল বিক্রি নিষিদ্ধ
কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১০ সালে নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের পর সরকার ২৯টি ক্ষতিকর কেমিক্যাল চিহ্নিত করে বিক্রি নিষিদ্ধ করে।
অনুমতি ছাড়া ব্যবসায়ীদের এসব কেমিক্যাল বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষিদ্ধ সেই ২৯টি কেমিক্যাল হলো— অ্যাসিটোনে, বুটিল অ্যাসিটেড, এন বুটিল অ্যাসিটেড, এন বুটানল, ডিল-২৫৭৫, সাইক্লোহেক্সিনন, ইথাইল অ্যাসিটেড, ইথাইল অ্যাসিটেড (অ্যানডিন্যাচারাল অ্যালকোহল), ইথানল (অ্যাবসুলেট এইচপিসিএল জেআর.), ইথানল (অ্যাবসুলেট), ২-ইথাইল অ্যালকোহাল, ইথাইল গেলকোল, হেবি অ্যানোমেটিক, আইএসও- প্রোপল অ্যালকোহাল (টিচ. জিআর.), আইএসও- প্রোপল অ্যালকোহাল (ফার-র ম্যাটেরিয়ালস), আইএসও- প্রোপল অ্যালকোহাল, মিথানল, মেক, এমআইবিকে, অর্গানিক কোম্পাজিট সলভেন্ট এন্ড থিনার, এন-প্রোপল অ্যাসিটেড, ২-প্রোপানল, ১.২ প্রোপানডাল, রিডিউচার, সলভেন্ট বেস প্রোভাইডিং ইন্ক এন্ড ডিটেন্ট, টলিউইন্, থিনার-বি, জাইলিন, ডাই-অ্যাসিটোন অ্যালকোহাল।