ঝিনাইদহের কপোতাক্ষ নদে যাচ্ছে বাজারের আবর্জনা, হুমকির মুখে পরিবেশ

সুমন মালাকার, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বাজারের পাশে অবস্থিত কপোতাক্ষ নদ। কোটচাঁদপুর বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এই কপোতাক্ষ নদে। বিশেষ করে মুরগি ও মাংসের ময়লা-আবর্জনা প্রতিদিন যাচ্ছে এই নদে। ফলে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে এই নদ। নদী হারাচ্ছে প্রাণ, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে দূষণ, ছড়িয়ে পড়ছে রোগ-ব্যাধি। দূষণে নদের পানি ব্যবহার হয়ে পড়েছে অনুপোযোগী।
সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা এই প্রতিকুল অবস্থা থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোটচাঁদপুর বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহি কপোতাক্ষ নদ। একসময় এ এলাকার মানুষ কপোতাক্ষ নদের পানি দিয়ে দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করতো। কালের বিবর্তনে নদের নব্যতা সংকট এবং আবর্জনা ফেলার কারনে নদটি যেমন হয়েছে সরু তেমনি পানির প্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে নদ হারাচ্ছে তার প্রাণ।
দীর্ঘদিন ধরে কোটচাঁদপুর বাজারের মুরগী ও মাংসের ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় কপোতাক্ষ নদে। যার ফলে উক্ত স্থান দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদের পানির স্রোত বন্ধ হয়ে গেছে। দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায়। দূর্গন্ধের স্বীকার হচ্ছেন পাশেই অবস্থিত কোটচাঁদপুর-মহেশপুর উপজেলার সংযোগ সেতু দিয়ে হাজারো পথচারিরা।
দূর্গন্ধের কারনে মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয়। সাধারণ ক্রেতাদের মাছ ও মাংসের বাজারে নাক চেপে ধরে ছাড়া প্রবেশ করা দায়।
বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, দূর্গন্ধের ফলে প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা যেমন কষ্ট করে ব্যবসা করে, অন্যদিকে ক্রেতারা এসে বেশি সময় অবস্থান করতে পারেন না।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকার কারনে নদেই ফেলা হয় এইসব ময়লা-আবর্জনা ও দূষিত পানি।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানা জানান, বিষয়টি নিয়ে পৌর মেয়র কে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে কপোতাক্ষ নদ খননের কাজ চলমান রয়েছে। অচিরেই এই নদের আশ-পাশের এলাকায় অবস্থিত নদের জায়গা দখল মুক্ত করে এর খনন কাজ শুরু হবে। এবং নদের প্রাণ নদ ফিরে পাবে।