ঝিনাইদহে মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাননাশের হুমকি
টিপু সুলতান, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় জখম ও লুটপাটের ঘটনার মামলায় বাদীপক্ষকে প্রাননাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে এ মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ আসামীর মধ্যে আদালতে জামিন নিতে গিয়ে ১৩ জন ঝিনাইদহ জেল হাজতে রয়েছে। কিন্তু বাকীদের মধ্যে মামলার প্রধান ৩ আসামি এখনো আটক না হওয়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, বাইরে থাকা ওই আসামীরাই মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে চলেছে। যাতে করেব াদি পক্ষ চরম শংকিত হয়ে পড়েছে। এদিকে ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত বাকীদেরকে আটক করতে না পারায় শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বাদিপক্ষের পরিবার। রোববার সকালে মামলার বাদী উপজেলার বাবরা গ্রামের জয়নাল স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এমনই এক অভিযোগ করেন।
মামলার বাদী ও লিখিত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী কালীগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচন ছিল। এ নির্বাচনীয় প্রতিহিংসার জের ধরেই ভোটের আগের রাত অনুমানিক ১টার দিকে আ’লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর সমর্থক লিটনের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী বাবরা গ্রামে হমলা চালায়।
সন্ত্রসীরা বোমা, রামদা, লাঠিসোঠা নিয়ে মামলার বাদী জয়নালের ছোট ভাই ওসমান বিশ্বাসের পোল্ট্রির ফার্মে গিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। এবং অফিস রুম ভাংচুরসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে। এ সময় ওসমানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা কয়েকটি বোমার বিস্ফোরন ঘটিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ খবর পেয়ে রাতেই কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ৪ টি অবিস্ফোরিত বোমা ও বিস্ফোরিত বোমার আলামত জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর জখম ওসমানকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতাল ও পরে তার অবস্থার অবনতি হলে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় পরদিন ২৮ ফেব্রুয়ারী আহত ওসমানের ভাই জয়নাল বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ১৩ আসামী জামিন নিতে গেলে আদালত তাদেরকে জামিন না মনজুর করে জেলে পাঠায়। বাদী পক্ষের অভিযোগ এখনো মামলার প্রধান ৩ আসামি বাইরে রয়েছে। তারাই মামলা তুলে নিতে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে মামলার বাদী জয়নাল স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইউনুচ আলী বলেন, এই মামলার মূল তিন জনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।