ঝিনাইদহের চোখঃ
ফজলে হাসান বাদশা (রাজশাহী-২), শফিকুল আযম খান চঞ্চল (ঝিনাইদহ-৩), আয়েন উদ্দীন (রাজশাহী-৩) এই তিন সাবেক আবাসিক শিক্ষার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনার আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী হল কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকালে হলের মুক্তমঞ্চে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা সবাই দলবাজি করি কিন্তু দলের থেকে আদর্শ বড়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না জন্মালে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তার চেতনা যদি ধারণ করতে না পারি তাহলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না। তার আদর্শকে না মানলে বাংলাদেশও টিকে থাকবে না। তাই তরুণদের প্রতি আমার আহ্বান যে আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করবো। সংবিধানের দিকে যদি দেখি তাহলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূলমন্ত্র খুঁজে পাবো। আর তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু চার মূলনীতির কথা বলেছেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র যেন হাজার বছর টিকে থাকে তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। আমরা সবাই একটা প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করি যে চার নীতির ভিত্তিতে আমরা দেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করবো। এটাই হোক আমাদের শপথ ও অঙ্গীকার।
রাবি হল সংসদের সাবেক এজিএস ও বর্তমান ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাংসদ শফিকুল আযম খান চঞ্চল বলেন, আমাদের সময়ে আমার বন্ধুরাসহ অনেককে দেখেছি টাকার অভাবে পড়াশুনা করতে পারতো না। কিন্তু এখন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবদানে পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ার উপায় নেই। সেই ধারাকে অব্যাহত রাখা আমাদের দায়িত্ব। আজ এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে আজ সকল স্মৃতি মনে পড়ছে। আমির আলি হলের সংবর্ধনা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনা।
আয়েন উদ্দিন বলেন, ১৮ বছরে রাবির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ২০০১ সাল আর ২০১৯ এ অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমরা যখন রাজনীতি করেছি তখনকার ক্ষমতাসীনরা ক্যাম্পাসে অস্থির পরিবেশ করে রেখেছে সবসময়। আমি নিজে রাজনীতি করতে গিয়ে ক্যাম্পাসে থাকতে পারিনি। অবশ্য রাজনীতি করলে ভয় ভীতি থাকবেই। তবে আজ রাবির পরিবেশ আমাকে প্রশান্তি দেয়। আমাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত করায় হল প্রাধ্যক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধক বক্তা হিসেবে রাবি উপাচার্য এম আবদুস সোবহান বলেন, ১৯৮০ সালে মৈত্রী থেকে ফজলে হোসেন বাদশা ভিপি নির্বাচিত হন। আমি তাঁর রাজনীতি দেখেছি। তাঁর একটি বিশেষণ হলো তিনি জনমানুষের নেতা। তাই স্বপ্ন দেখা বড় কথা নয়। যদি আমার স্বপ্নকে অন্যের মধ্যে লালিত করতে না পারি তবে সেই স্বপ্ন দেখা স্বার্থক হবে না। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছেন। সাড়ে সাত কোটি মানুষকে ওই স্বপ্ন দেখিয়েছেন। যার ফলে আমরা আজ এই বাংলাদেশ পেয়েছি। মানুষ যদি সৎ আশা করে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে তবে তারা অবশ্যই লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, নাটোর কারিগরি ও ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পরিমল কুমার কুন্ডু নওগা জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি সরদার সালাউদ্দীন মিন্টু, রাজনীতিবিদ প্রাণকৃষ্ণ রায়, এমএনএম মুনির উদ্দীন, উত্তম কুমার সহ আরো অনেকেই। সংবর্ধনা শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।#