ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

রাশেদকে গুলি করে হত্যার হুমকিতে ঝিনাইদহে অসুস্থ মা

ঝিনাইদহের চোখঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় তার ঝিনাইদহের বাড়িতে গিয়ে এ হুমকি দেয়া হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই যুগ্ম আগ্কায়কই এ অভিযোগ করেছেন।

এদিকে ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাশেদের মা সালেহা বেগম। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর তিনি জ্ঞান ফিরে পান। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রাশেদ খান বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় চরমুরাড়ীদহ গ্রামে তার বাড়িতে যান। তারা তার মা–বাবাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘রাশেদ আন্দোলন করছে এবং সরকারবিরোধী কথাবার্তা বলছে। তাকে শেষবারের মতো সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। এর পর সে এসব করলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে। পরিবারের সদস্যরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা না দিয়ে ফিরে যান।’

এ ঘটনার পর রাশেদের মা সালেহা বেগম অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে ঝিনাইদহের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আড়াই ঘণ্টা পর তার চেতনা ফিরে আসে। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান বলেন, আপনারা আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও আমাকে এমন হুমকি দেয়া হয়েছিল।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। রাশেদের পরিবারের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি।

রাশেদ চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি এ পরিষদের ব্যানারে ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদে নির্বাচন করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর কাছে হেরে যান।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে দুটি ছাড়া সব পদে জয় পায় ছাত্রলীগ।ভোটের দিনই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেল। এরা হলো- ছাত্রদল, বামজোট, ইসলামী আন্দোলন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এর পর থেকে তারা পুনর্নির্বাচন দাবিতে বিক্ষোভ করছে। এ বিক্ষোভে রাশেদও আছেন। গতকাল বুধবার তিনি রাজু ভাস্কর্যে বক্তৃতাও করেন।

এই নির্বাচনে রাশেদ জিএস পদে নির্বাচন করেন। রাশেদ জিততে না পারলেও ভিপি পদে জয় পান তার সহপাঠী নুরুল হক নুর। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভনকে ১৯৩৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button