ঝিনাইদহে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইট ভাটা

ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ জেলায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইট ভাটা । পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার অধিকাংশ ইট ভাটার মালিকরা বসবাসের জায়গায় এমনকি ফসলি জমির উপর অবৈধভাবে ইট ভাটা নির্মাণ করে ইট পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইট ভাটা পোড়ানো হচ্ছে হাজার হাজার মণ কাঠ । ধ্বংস করা হচ্ছে বনায়ন আর ফসলি জমি। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি চরম হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য। তবুও ভাটাগুলি নিয়ন্ত্রনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ থাকছে প্রশাসনের কার্যক্রম।
সরকারি নীতিমালা অনুসারে ইটভাটা স্থাপন করতে হলে কাঠের পরিবর্তে কয়লা দিয়ে ইট পোড়াতে হবে। অথচ অধিকাংশ ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন গাছের হাজার হাজর মণ কাঠ। ভাটায় ফিক্সড চিমনি ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ ভাটাই ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যারেলের তৈরি চিমনি। স্কুল-কলেজ, বসতবাড়ি এমনকি সড়কের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে ভাটা স্থাপন সরকারি আইন লঙ্ঘন হলেও অধিকাংশ ভাটা মালিকরা তা তোয়াক্কা করছে না। এতে চরম ভাবে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য।
জেলায় যত্রতত্রই গড়ে উঠছে অবৈধ ইট ভাটা। পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, কেউই মানছে না সরকারি নীতিমালা। নিয়ম মানানোর জন্য কর্তৃপক্ষেরও নেই কোন নজরদারী। ইটভাটা মালিক সমিতির নেতারা বলছেন বারবার বলা সত্বেও কিছু ভাটা মালিক কাঠ পোড়াচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সমিতির কোন দায়ভার থাকবে না বলেও জানান তারা। এদিকে, জেলা প্রশাসক জানালেন, খুব শিগগিরই অবৈধ ও পরিবেশ দুষণকারী ইট ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।