দাঁতে নখ কাটার অভ্যাস ছাড়বেন যেভাবে
ঝিনাইদহের চোখঃ
সামান্য টেনশনে বা উত্তেজনায় ভুগলেই দাঁত দিয়ে নখ কাটেন অনেকেই। তারা খুব ভালোমতোই জানেন যে অভ্যেসটি অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং লোকজনের সামনে রীতিমতো লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এটি একটি বদ-অভ্যাসও বটে।
সবচেয়ে বড়ো কথা, হাত দিয়ে আমরা সারাদিন নানা ধরনের কাজ করি, ফলে হাতে অজস্র জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়াও বাসা বাঁধে। দাঁত দিয়ে নখ কাটলে সেগুলি সরাসরি আপনার মুখে প্রবেশ করতে পারে। এই অভ্যেস থাকলে যে কেবল নখের আকারই খারাপ হয়ে যায় তা নয়, দাঁতে বা মাড়িতে আঘাত লাগতে পারে। নখের চারপাশের টিস্যু জখম হয়, অনেক সময় সামনের দাঁতেও চিড় ধরে যায়।
তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, নখ চিবানোর অভ্যেসটা ছাড়ার চেষ্টা করুন। তার জন্য আমাদের দেয়া দেওয়া পদ্ধতিগুলি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
১. ঠিক কোন কারণে নখ চিবানোর হার বাড়ছে, সেটা বের করার চেষ্টা করুন। ঠিক কোন কোন বিষয় থেকে সমস্যাটি জটিল আকার ধারণ করছে, সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। কেউ টেনশন থেকে এমনটা করেন, কেউ খিদে পেলে করেন, কারও ক্ষেত্রে ভয় পাওয়া বা স্রেফ বোর হয়ে যাওয়াটাও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোন পরিস্থিতিতে সমস্যা বাড়ে, সেটা খুঁজে বের করা গেলে সমাধানও সহজ হবে।
২. হাতের কাছে রাখুন চিউয়িং গাম আর স্ট্রেস বল। আপনার হাত আর মুখ দুটোই যদি ব্যস্ত থাকে, তা হলে নখ চিবানোর হার নিশ্চিতভাবেই কমবে। সারাক্ষণ দাঁতে নখ কাটার অভ্যেস আছে যাদের, তারা চিউয়িং গাম চিবোলেই অনেকটা অন্যমনস্ক হবেন। স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটি বা আপনার ক্ষেত্রে যেটি ট্রিগার হিসেবে কাজ করে, তা বাড়লেই হাতের মুঠোয় ভরে নিন স্ট্রেস বল।
৩. যে কোনও অ্যাডিকশন বা নেশা তাড়াতে খানিকটা সময় লাগে, রাতারাতি ফল পাওয়ার আশা করবেন না, না পেলে হতাশও হয়ে পড়ার কারণ নেই। ধীরে ধীরে সচেনভাবে অভ্যেসটা ছাড়ার চেষ্টা করুন।
যাদের সন্তান আছে, তারা খেয়াল রাখবেন, শিশু কিন্তু মা-বাবাকে দেখেই অনেক কিছু শেখে। আপনার এই বদ-অভ্যাসটি সন্তানের মঙ্গলের জন্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছাড়া উচিত।